• বায়ুদূষণ মাপার জন্য রাজ্যের সব ব্লক মিলিয়ে বসছে ২০০টি যন্ত্র
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ জুলাই ২০২৪
  • বর্তমানে বায়ু দূষণ একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি একাধিক রিপোর্টে কলকাতায় বায়ু দূষণ নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। তবে শুধু কলকাতা নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতেও বায়ুদূষণ বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় গোটা রাজ্যে বায়ু দূষণের মাত্রা জানতে বিশেষ উদ্যোগ নিল পরিবেশ দফতর। বায়ু দূষণের মাত্রা জানার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ২০০ টি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র বসানো হয়েছে। এই যন্ত্রের সাহায্যে বায়ু দূষণের মাত্রা সহজেই জানা যাবে। শুক্রবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানি।


    মন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রতিটি ব্লকে এই যন্ত্র বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে সব ব্লকে একটি করে এই যন্ত্র বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ব্লক ভিত্তিক বায়ু দূষণের মাত্রা জানা সম্ভব হবে। এছাড়াও বিধানসভাতেও বায়ুদূষণ মাপার যন্ত্র বসানোর জন্য স্পিকারের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এবিষয়ে সবুজ সংকেত পেলেই এই যন্ত্র বসানো হবে। 

    প্রসঙ্গত, গোটা বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন এবং তাপমাত্রার বৃদ্ধি বর্তমানে একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রবণতা আটকাতে রাজ্যের পরিবেশ দফতরের তরফ থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক রত্না দে নাগ। সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এ কথা জানান পরিবেশ মন্ত্রী। তিনি আরও জানান, পরিবেশ দফতরের তরফে একটি মোবাইল অ্যাপ নিয়ে আসা হয়েছে। এটি পরিবেশ দফতরের তরফেই তৈরি করা হয়েছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত তথ্য জানার পাশাপাশি পরিবেশ সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ থাকলে তা এই অ্যাপের মাধ্যমে জানানো যাবে। সেক্ষেত্রে অ্যাপটি যাতে আরও বেশি করে ব্যবহার করা হয় তার উপর জোর দিয়েছেন মন্ত্রী।

    রব্বানি জানান, দেশের মধ্যে প্রথম বাংলাতেই পরিবেশ দফতরের তরফে এই অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তন এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রবণতা রুখতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সে কথাও জানান মন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি জানান, প্লাস্টিক থেকে দূষণ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্লাস্টিক সামগ্রী উৎপাদকদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। এছাড়া, ব্যবহৃত প্লাস্টিক সামগ্রী রিসাইক্লিং করার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও, একাধিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)