• বেআইনি বাড়ি ভাঙতে গিয়ে বিল ৫ কোটি টাকা, মেটাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে পুরসভা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ জুলাই ২০২৪
  • মাসখানেক আগে গার্ডেনরিচে ভেঙে পড়েছিল বেআইনি বহুতল। তারপর থেকেই বেআইনি নির্মাণ রুখতে তৎপর হয়েছে কলকাতা পুরসভা । কোনও অভিযোগ পেলেই ভেঙে দেওয়া হচ্ছে বেআইনি বহুতল বা নির্মীয়মাণ বহুতল। এর জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কয়েকটি এজেন্সিকে। এজেন্সিগুলিকে বাড়ি ভাঙার সংখ্যা অনুযায়ী বিল দিতে হচ্ছে পুরসভাকে। কিন্তু, বেশি পরিমাণে বেআইনি বাড়ি ভাঙার ফলে সংস্থাগুলির বিলের অঙ্কও বেশি হচ্ছে। আর সেই বিল মেটাতে গিয়েই হিমশিম খেতে হচ্ছে পুরসভাকে। অনেক ক্ষেত্রেই প্রচুর পরিমাণে বিল বকেয়া থেকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলছে এজেন্সিগুলি। আর বকেয়া না মেটালে তারা কাজ বন্ধ করারও হুঁশিয়ারি দিচ্ছে।


    সাধারণত কলকাতা পুরসভার আইন অনুযায়ী, বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে যে খরচ হয় তা বাড়ির মালিকদের দিতে হবে। কোনও বেআইনি বাড়ি ভাঙার পরে বিল মেটানোর জন্য সংশ্লিষ্ট মালিকদের ১৫ দিন সময় দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে বিল না মেটালে সম্পত্তি করের সঙ্গে সেই টাকা জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, তাতে জমির মালিকরা সমস্যায় পড়লেও প্রোমোটারদের সমস্যা কিছুই হচ্ছে না। ফলে দিনের পর দিন বেআইনি বাড়ি বানিয়ে যাচ্ছেন প্রোমোটাররা। 

    এই অবস্থায় বেআইনি ভাঙার পর সেখান থেকে অর্থ উপার্জনের সুযোগ থাকছে না, যে সেই টাকা থেকে এজেন্সিগুলিকে বিল মেটানো হবে। কারণ জমির মালিক সহজে টাকা মেটাতে চাইছে না। শুধু তাই নয়, পুরসভার অনুমান ছিল, বাড়ি ভাঙার পর সেক্ষেত্রে প্ল্যান মেনে বাড়ি তৈরি করার প্রবণতা বাড়বে। এর ফলে আয় বাড়বে পুরসভার। কিন্তু, সেটা বাস্তবে সম্ভব হয়নি। ফলে সেইমতো আয়ও বাড়ছে না। যদিও মেয়র ফিরহাদ হাকিম স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, যে কোনওভাবেই বেআইনি নির্মাণ মেনে নেওয়া হবে না। অবিলম্বে তা ভেঙে দেওয়া হবে।

    তবে সমস্যা দেখা দিচ্ছে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার সঙ্গে যুক্ত এজেন্সিগুলিকে নিয়ে।।বাড়ি ভাঙার কাজে যুক্ত রয়েছে মোট ৪টি এজেন্সি। পুরসভা সুত্রের খবর, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুর এলাকায় ৪৯৫ টি বেআইনি বাড়ি ভাঙা হয়েছে। সেক্ষেত্রে বাড়ি ভাঙা বাবদ এই ঠিকাদার এজেন্সিগুলির ৫ কোটি টাকার বিল হয়েছে কলকাতা পুরসভার। কিন্তু, সেই টাকা পুরসভা মেটাচ্ছে না বলেই অভিযোগ। এই অবস্থায় সংস্থাগুলি পুরসভায় প্রতিমাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বকেয়া না পেয়ে অনেক এজেন্সি আবার কাজ বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)