বাসি-পচা খাবারের অভিযোগ জলপাইগুড়ি শহরের রেস্তরাঁয় অভিযান
বর্তমান | ২৮ জুলাই ২০২৪
সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি: ব্যস্ততার যুগে রেস্তরাঁ নির্ভরতা বেড়েছে বাঙালি পরিবারে। আর সেই চাহিদা পুরণে জলপাইগুড়ি শহরের চালু হয়েছে প্রচুর রেস্তোরাঁ। প্রায় প্রতিটি পাড়ায় ক্যাফে কিংবা রেস্তরাঁর সন্ধান মিলবে। কিন্তু আদৌ এইসবে নজরদারি আছে কি! নিম্নমাণের উপকরণ দিয়ে খাবার বানানো হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন শহরবাসী। আর এই অভিযোগ পেয়েই শনিবার একাধিক রেস্তরাঁয় অভিযান করল প্রশাসন। রেস্তরাঁ থেকে খাবারের নমূনা সংগ্রহের পাশাপাশি কিছু আপত্তিকর খাবার তৈরির উপকরণও বাজেয়াপ্ত করেছে মহকুমা টাক্সফোর্স। পাশাপাশি আলু পেঁয়াজের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে শুনে একটি শপিং মলে অভিযান চালানো হয়।
শহরে একাধিক রেস্তরাঁ এবং খাবারের দোকান রয়েছে। সেগুলির অভিকাংশ বিভিন্ন কোম্পানি চালিয়ে থাকে। প্রতিদিন সেগুলি থেকে লম্বা লাইন দিয়ে খাবার কিনে নিয়ে যান সাধারণ মানুষ। কিন্তু পচা ও বাসি খাবার পেয়ে প্রশাসনকে অভিযোগ জানিয়েছিলেন শহরের কিছু বাসিন্দা। রেস্তরাঁর নাম উল্লেখ করেই সেই অভিযোগ জানানো হয়েছিল। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই শহরের বিভিন্ন রেস্তরাঁ এবং দোকানে সদর মহকুমা শাসক তমোজিৎ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে মহকুমা টাক্সফোর্স অভিযান করে। রেস্তরাঁগুলির কিচেনে গিয়ে খাবার তৈরির সামগ্রী পরীক্ষা করেন ফুড সেফ্টি অফিসাররা। সেই সঙ্গে খাবার এবং উপকরণের নমূনা সংগ্রহ করেন তাঁরা।
জলপাইগুড়ি জেলা কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ফেয়ার বিজনেস প্র্যাকটিসেস বিভাগের সহকারী নির্দেশক দেবাশিস মণ্ডল বলেন, কিছুদিন আগে লিখিত অভিযোগ এসেছিল। রেস্তরাঁ এবং দোকানগুলি থেকে বাসি চিকেন সহ সামগ্রীর নমূনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলি পরীক্ষা করা হবে।
প্রশাসনের এই অভিযানে স্বস্তিতে শহরবাসী। বিবেকানন্দ পাড়ার সুমিত্রা মুন্সি বলেন, অনেক সময়ই রেস্তরাঁ থেকে খাবার নিয়ে আসা হয়। সেখানে বাসি-পচা খাবার রুখতে নিয়মিত নজরদারি চালানো দরকার। একই মন্তব্য শান্তিপাড়ার বাসিন্দা অমিত বিশ্বাসের। তিনি বলেন, প্রশাসনের নজরদারি থাকলে রেস্তোরাঁগুলি পচা খাবার বিক্রি করতে পারবে না। তাই নিয়মিত নজরজদারি দরকার।
অন্যদিকে, শপিং মলে সরকারি মূল্যের তুলনায় আলু পেঁয়াজের দাম অনেক বেশি নেওয়া হচ্ছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে একটি বহুজাতিক সংস্থার শপিংমলে অভিযান চালায় টাক্সফোর্স। প্রশাসন যখন কাঁচা সব্জির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে, তখন ওই মলে পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৫২ এবং আলু কেজি প্রতি ৪২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানান এসডিও। তিনি বলেন, মলে বেশি দামে লো সুগার আলু বিক্রি হচ্ছে। এই লো সুগার আলু বিক্রির অনুমোদন রেখেছে কি না, সেটাও দেখা হচ্ছে।