সংবাদদাতা, দেওয়ানহাট: লোকসভা ভোটে কোচবিহার আসনে বিজেপি পরাজিত হতেই জেলাজুড়ে পদ্ম শিবিরে ভাঙন অব্যাহত। দলে দলে বিজেপি কর্মী-সমর্থক থেকে শুরু করে পদ্ম শিবিরের পঞ্চায়েত সদস্য, প্রধান, উপপ্রধানরা ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই কোচবিহার জেলায় বিজেপির দখলে থাকা ২৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে অর্ধেকের বেশি হাতছাড়া হয়েছে। শুক্রবার বিজেপির দখলে থাকা আরওএকটি গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হল পদ্ম শিবিরের। ফলে জেলায় বিজেপির দখলে থাকা ২৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে এখন বিজেপির দখলে মাত্র সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে।
এদিন সন্ধ্যায় তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের বারোকোদালি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুদর্শন রায় সহ আরও দুই পঞ্চায়েত সদস্য উৎপল সিংহ ও অঞ্জনা বর্মন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের হাত ধরে তাঁরা যোগ দেন। এই অঞ্চলের ১৮টি আসনের মধ্যে বিজেপির দখলে ছিল ১০টি ও তৃণমূলের দখলে ছিল আটটি আসন। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ আরও দুই সদস্য এদিন তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় সেই সংখ্যা হল তৃণমূলের ১১ ও বিজেপির সাত। এর আগে বারোকোদালি ২, অন্দরান-ফুলবাড়ি অঞ্চল দু’টি বিজেপির হাতছাড়া হয়ে তৃণমূলের দখলে এসেছে।
তৃণমূলে যোগ দিয়ে বারোকোদালি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুদর্শন রায় বলেন, আমি এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করতে চাই। এলাকার উন্নয়ন একমাত্র তৃণমূলের হাত ধরেই সম্ভব। তাই আমি ছাড়াও দুই পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
তৃণমূলের কোচবিহারের জেলা সভাপতি বলেন, প্রধান সহ আরও দুই পঞ্চায়েত সদস্য আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। আরও অনেকে দলে যোগ দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করছেন। পঞ্চায়েত ভোটে জেলায় ১২৮টির মধ্যে ২৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে গিয়েছিল। বর্তমানে মাত্র সাতটি বিজেপির দখলে রয়েছে। বাকি গুলি তৃণমূলের দখলে রয়েছে। বিজেপিতে মানুষ থাকতে চাইছে না। খুব শীঘ্রই আরও ভালো খবর আপনারা জানতে পারবেন। বিজেপির কোচবিহার জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, লোকসভা ভোটের পর তৃণমূল জেলাজুড়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। গ্রামে গ্রামে বিজেপির কর্মীদের উপর আক্রমণ হচ্ছে। দলের পঞ্চায়েত সদস্যদের ভয় দেখিয়ে, হুমকি দিয়ে জোর করে তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেওয়া হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র