নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার ও সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: ২০২৫ সালের ৫ এপ্রিলের মধ্যে গোর্খাদের অসম্পূর্ণ দাবি পূরণ করতে হবে বিজেপিকে। এব্যাপারে সংসদে দার্জিলিংয়ের এমপি’কে জোরালো সওয়াল করতে হবে। যদি গোর্খাদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ না করে বিজেপির জোট সরকার তাহলে পাহাড়ে আন্দোলন শুরু হবে। শনিবার কার্শিয়াংয়ের গাড়িধুরায় গোর্খাল্যান্ড শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে এই হুঙ্কার দেন সুবাস ঘিসিং তনয় তথা জিএনএলএফ সভাপতি মন ঘিসিং।
অন্যদিকে, কোচবিহারের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সম্প্রতি সংসদে তোলা অনন্ত মহারাজের প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করে। সুকান্তর প্রস্তাবও কতটা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হবে তা নিয়েও বলেন তাঁরা। তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, বিজেপি রাজনৈতিকভাবে বাংলা দখল করতে না পেরে টুকরো করে রাজনৈতিক লভ্যাংশ পেতে চাইছে। উন্নয়নই যদি প্রাধান্য পায় তাহলে স্পেশাল প্যাকেজই ঘোষণা করতে পারে। মানুষ ওদের দ্বিচারিতা বুঝে ফেলেছে। বাংলা ভাগ হতে দেব না।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক অনন্ত রায় বলেন, রাজ্যভাগ ধান্দার রাজনীতি। জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি রবীন রায় বলেন, অনন্তর দাবি অবাস্তব। বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, অনন্ত মহারাজের বিষয়ে বলার কিছু নেই। উত্তরবঙ্গ পিছিয়ে পড়া বলেই সকলে এসব দাবি করে। আমরা চাই, উত্তরবঙ্গে উন্নয়ন হোক। উন্নয়ন হলে এসব দাবি উঠত না।
শনিবার পাহাড়ের প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দল শহিদ দিবস পালন করে। ১৯৮০ সালে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে তৎকালীন জিএনএলএফ নেতা সুবাস ঘিসিংয়ের আন্দোলনের সময় ১২০০’র বেশি আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়েছিল। সেই থেকে দার্জিলিংয়ে এই দিনটি শহিদ দিবস হিসেবে পালন হয়ে আসছে। মনের হুঙ্কারের প্রেক্ষিতে এমপি রাজু বিস্তাকে টেলিফোন করা হলে রিসিভ করেননি। মেসেজেরও উত্তর দেননি।