• উচ্চ প্রাথমিক: ১৩ হাজারেরও বেশি শিক্ষক নিয়োগে জট কাটছে আগস্টে
    বর্তমান | ২৮ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: উচ্চ প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত জট কাটতে চলেছে আগস্টেই। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পরই নিয়োগ শুরু হবে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার পদে। স্বস্তি পাবে বহু বছর ধরে শিক্ষকশূন্য অবস্থায় পড়ে থাকা স্কুলগুলি। আগামী ১০-১১ আগস্ট নাগাদ এ নিয়ে চূড়ান্ত রায় দেবে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সংশ্লিষ্ট মামলার গতিপ্রকৃতি এবং শুনানি দেখে ওয়াকিবহাল মহলের আশা, নিয়োগের পক্ষেই যাবে সেই রায়।


    বহু বছর ধরে নানা আইনি টানাপোড়েন, মামলা-পাল্টা মামলায় থমকে রয়েছে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ। গত ১৮ জুলাই এই সংক্রান্ত মামলায় রায়দান স্থগিত রাখে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ। তবে জানিয়ে দেওয়া হয়, তিন সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত রায়দান হবে। সেই হিসেবে ১০-১১ আগস্ট মামলাটির রায় দিতে পারে হাইকোর্ট।


    উচ্চ প্রাথমিকে মোট শূন্যপদ ১৪ হাজার ৩৩৯টি। প্যানেলে ১৩ হাজার ৩৩ জনের নাম রয়েছে। আদালতের নির্দেশে সব তথ্য খতিয়ে দেখে ৬৩৫ জন প্রার্থীকে বাতিল করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। এর মধ্যে ৫৫৯ জনের ক্ষেত্রে ওএমআর শিট এবং সার্ভারে প্রাপ্ত নম্বরের গরমিল ধরা পড়ে। ৭৪ জনের ওএমআর শিটে হোয়াইটনার দিয়ে সংশোধন করা হয়েছিল। সেই বিকৃত ওএমআর শিটগুলিও বাতিল করা হয়েছে। আর বাকি দু’জনের ক্ষেত্রে বিষয় সংক্রান্ত কিছু গরমিল ছিল। এপ্রসঙ্গে এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ‘আশা করছি ১০-১১ আগস্ট রায়দান হবে। আদালত যদি বলে ওই ৬৩৫ জনকে বাদ দিয়ে নিয়োগ করতে, তাই করা হবে। তবে, এবার এটার একটা ফয়সালা হবেই।’ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের নেতা সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘বহুদিনের প্রতীক্ষার অবসান এবার হতে চলেছে বলে আমরা আশাবাদী।’


    আবার রাজ্যের ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি থাকছে না বাতিল হচ্ছে, তার একটা আভাস মিলবে সুপ্রিম কোর্টের আগামী ৬ আগস্টের শুনানিতে। মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক, গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি স্তরের শিক্ষাকর্মী—মোট চার ধরনের নিয়োগ এর সঙ্গে জড়িয়ে। তাই সবকিছু এক জায়গায় আনতে (স্ট্রাকচারিং) আদালত একটি কমিটি গঠন করেছে। সাহায্য করছে এসএসসি এবং শিক্ষাদপ্তরও। নিয়োগবিধি, বিজ্ঞপ্তি, শূন্যপদের সংখ্যা এবং তালিকা, প্রার্থীদের যোগ্যতা সব একজায়গায় রাখা হচ্ছে। ৬ আগস্টের আগেই সেই তথ্য সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়বে। তার পরে হবে শুনানি। এসএসসির এক আধিকারিক বলেন, ‘এত মানুষের চাকরির বিষয় মামলাটির সঙ্গে জড়িয়ে। তাই সুপ্রিম কোর্ট সময় নিয়েই বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে আমাদের ধারণা। সেক্ষেত্রে ৬ আগস্টেই বিষয়টির মীমাংসা হবে না। তবে, প্রথম দিনের শুনানিতে একটি দিকনির্দেশ পাওয়া যাবে।’ 


    এদিকে, দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি থমকে রয়েছে। নিয়োগ বিধি, প্রাথমিক বিজ্ঞপ্তি, শূন্যপদের প্রাথমিক হিসেব আগেই প্রস্তুত। তাও, বিষয়টি নিয়ে সরকার অগ্রসর হচ্ছে না। ওয়াকিবহান মহলের আশা, নিয়োগ সংক্রান্ত জোড়া জটিলতা কাটলেই প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পথে হাঁটবে সরকার।
  • Link to this news (বর্তমান)