• কাটছে না বঙ্গ বিজেপির শনির দশা, রাজ্য কমিটির ‘মাতব্বর’দের ছেঁটে ফেলার ইঙ্গিত
    বর্তমান | ২৮ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বঙ্গ বিজেপির শনির দশা অব্যাহত। লোকসভা ভোটে বিরাট বিপর্যয়ের রেশ এখনও কাটেনি। তার মাঝেই দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল বারবার বেআব্রু হয়ে পড়ছে। ভোটের ফলাফল নিয়ে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিরোধী দলনেতার অবস্থান ভিন্ন মেরুতে। এবার গোঁদের উপর বিষ ফোঁড়া হিসেবে উঠে আসছে বঙ্গভঙ্গ সংক্রান্ত দলীয় মতপার্থক্য। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্তবাবু উত্তরবঙ্গের সার্বিক উন্নয়নে রাজ্যের উত্তরের ৮ জেলাকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে সংযুক্তির দাবি জানিয়েছেন। সরাসরি যার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা ও রাজ্যসভার এমপি শমীক ভট্টাচার্য। ভিন রাজ্যের বিজেপি এমপি নিশিকান্ত দুবের সুরে সুর মিলিয়ে এবার মালদহ-মুর্শিদাবাদকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অধীনে আনার দাবিতে সরব মুর্শিদাবাদের বিধায়ক গৌরিশঙ্কর ঘোষ। যা নিয়েও পদ্ম পার্টিতে ফাটল ক্রমেই চওড়া হচ্ছে। উত্তরবেঙ্গর বিধায়কদের একাংশ পৃথক রাজ্যের দাবির প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন। অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ এমএলএ অখণ্ড বাংলার পক্ষে। স্বভাবতই দলীয় পরিসরে এবং পরিষদীয় স্তরে বঙ্গ বিজেপি’র অনৈক্যের ছবি স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বাংলা ইউনিটের এহেন হতশ্রী চেহারা দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব।


    এ প্রসঙ্গে দিল্লির এক বিজেপি নেতা বলেন, পার্টির মধ্যে এত গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল ভুগতে হচ্ছে আমাদের। বিধানসভা, পুরসভা কিংবা সাম্প্রতিক লোকসভা ভোটে নেতাদের মধ্যে চরম বিরোধ, এ রাজ্যে নির্বাচনী যুদ্ধে ব্যর্থতার অন্যতম কারণ। বারবার বলা সত্ত্বেও, নেতারা নিজেদের ইগো ছাড়তে পারছেন না। বঙ্গ বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই নেতার কথায়, শুনলে অবাক হয়ে যাই, অনেক নেতা নিজেদের মধ্যে কথা পর্যন্ত বলেন না। স্রেফ সাংবাদমাধ্যমে লম্বা চওড়া ভাষণ দিয়েই নিজেদের মাতব্বর ভাবেন। তিনি আরও বলেন, লোকসভা পরবর্তী বাংলায় সাংগঠনিক দূর্বলতার কথা লিখিত আকারে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পেশ করা হয়েছে। এই মুহূর্তে রাজ্য কমিটির বড় পদে থাকা সিংহভাগ নেতৃত্বের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় বিজেপির ওই নেতা। খুব শীঘ্রই সংশ্লিষ্টদের ছেঁটে নতুন মুখ আনা হবে, এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।   
  • Link to this news (বর্তমান)