• ইডিস ইজিপ্টাই নয়, ডেঙ্গুর প্রধান বাহক এখন ইডিস অ্যালবোপিকটাস
    বর্তমান | ২৮ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ষাটের দশক থেকে শহরে ডেঙ্গুর জয়যাত্রা অব্যাহত। কিছুদিন আগে পর্যন্ত ইডিস ইজিপ্টাই মশাই ছিল সেই রোগের উৎস। এখন তার আধিপত্য শেষ! তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে ডেঙ্গুর বিজয় অব্যাহত রেখেছে ইডিস অ্যালবোপিকটাস মশা। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের শীর্ষসূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। 


    স্বাস্থ্যদপ্তরের পতঙ্গবিদরা দেখছেন, সংগৃহীত মশার ৫০ শতাংশেরই বেশি হল ইডিস অ্যালবোপিকটাস! কিন্তু হঠাৎ হলটা কী! কেন মশাদের আধিপত্যের এই সাম্রাজ্যবদল। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রের খবর, ইডিস ইজিপ্টাই মূলত ‘শহরাঞ্চলের মশা’ বলে পরিচিত। ‘সুখী’ এই মশা ডিম পাড়ার ক্ষেত্রে বেছে নেয় পরিষ্কার জল। বাটি, চায়ের কাপ, মাটির ভাঁড়ে তারা ডিম পাড়ে। তুলনায় অ্যালবোপিকটাস শুধু গ্রামাঞ্চল বা শহরতলির মশা বলে পরিচিত ছিল। পত্রকক্ষ, গাছের কোটর এইসব জায়গায় তারা ডিম পাড়ে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা নিজের চরিত্র কিছুটা হলেও পাল্টেছে। 


    দপ্তরের জনস্বাস্থ্য‌ ঩বিশেষজ্ঞরা জানান, ইজিপ্টাই আর অ্যালবোপিকটাসের মধ্যে প্রধান চরিত্রগত ফারাক হল, অ্যালবোপিকটাস প্রচুর সংখ্যায় বৃদ্ধি পেতে পারে। কিন্তু ডেঙ্গু সংক্রমণের ক্ষেত্রে ইজিপ্টাই অনেক বেশি ঘাতক। তাদের শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাসও দ্রুত বাড়তে পারে। অ্যালবোপিকটাস কম ক্ষমতাশালী হলেও নিজেদের দুর্বলতা ঢেকে ফেলছে সংখ্যার দাপটে। সংখ্যার আধিক্যেই তারা ইজিপ্টাইয়ের রাজ্যপাটের দখল নিচ্ছে। 


    স্বাস্থ্যদপ্তরের এইমতের ব্যাপারে কিছুটা ভিন্ন সুর কলকাতা পুরসভার মুখ্য পতঙ্গবিদ ডাঃ দেবাশিস বিশ্বাসের। সোমবার তিনি বলেন, ‘এখনও সারা পৃথিবীতে ডেঙ্গুর প্রধান বাহক মশা হল ইজিপ্টাই। অ্যালবোপিকটাস তারপরই আসে। তবে ইদানীং কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। কলকাতার বাড়ি বাড়ি ঘুরে লার্ভার খোঁজ করতে গিয়ে টব, বাটি এইসব জায়গা ইজিপ্টাইয়ের বদলে অ্যালবোপিকটাসের লার্ভা মিলছে। পরিত্যক্ত টায়ারে ইজিপ্টাই ছাড়া এতদিন অন্য ডেঙ্গু মশার কথা ভাবাই যেত না। এবছর শহরে পরিত্যক্ত টায়ারেও মিলছে অ্যালবোপিকটাস!
  • Link to this news (বর্তমান)