পিএইচডি করায় কেন বাধা, সংসদের কাছে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট
বর্তমান | ২৮ জুলাই ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: উচ্চশিক্ষায় বাধ সাধছে কর্তৃপক্ষ। এই অবস্থায় কোনও উপায় না দেখে অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এক প্রাথমিক শিক্ষক। উভয় পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর আদালত আপাতত জানতে চায়, কোন আইনে ওই শিক্ষককে উচ্চশিক্ষার জন্য ছাড়পত্র দেওয়া যাচ্ছে না।
বীরভূমের কুশমোড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে কর্মরত রয়েছেন শ্রীমন্ত মণ্ডল। তাঁর অভিযোগ, তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করতে চান। যেহেতু তিনি রেগুলার কোর্সের মাধ্যমে পিএইচডি করতে চান, তাই বীরভূম প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে ওই কোর্স করার জন্য ছাড়পত্র প্রয়োজন। কিন্তু একাধিকবার আবেদন করলেও প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র মেলেনি।
শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলার শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত ও দীপা আচার্য দাবি করেন, উচ্চশিক্ষার জন্য ছাড়পত্র বা নো অবজেকশন সার্টিফিকেট চাওয়া হলেও কর্তৃপক্ষ তা দিতে নারাজ। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংসদের আইনজীবী সারোয়ার জাহান পাল্টা দাবি করেন, আবেদনকারী যে ধরনের উচ্চশিক্ষার জন্য ছাড়পত্র চাইছেন, প্রাথমিক স্তরে শিক্ষাদানের জন্য সেই উচ্চশিক্ষার প্রয়োজন নেই। তাই এই ধরনের ছাড়পত্র দেওয়ার সংস্থান নেই। পাশাপাশি যেহেতু এটি রেগুলার কোর্স, তাই ওই কোর্স করার জন্য যে ছুটির প্রয়োজন, তা মঞ্জুর করার আইনি সংস্থানও নেই। এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মামলাকারীর আইনজীবী পাল্টা বলেন, মামলাকারীর ছুটির প্রয়োজন নেই। নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট মিললেই ওই কোর্স করা সম্ভব। উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানান, ওই শিক্ষক যদি ক্লাসের কোনও ক্ষতি না করে উচ্চশিক্ষা লাভ করতে চান তাহলে বাধা কোথায়? সেইসঙ্গে কোন আইনে মামলাকারীকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র দিতে বাধা রয়েছে, তা জানতে চেয়ে আপাতত পর্ষদের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি সিনহা। সোমবার পরবর্তী শুনানি।