• ত্রাসের আর এক নাম ‘এসকেপ’, ৬ উদ্ধত ব্যাকটেরিয়া দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাসপাতালের আইসিইউ ও আইটিইউ
    বর্তমান | ২৮ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ৬ ধরনের ‘উদ্ধত’ ব্যাকটেরিয়া দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাংলা সহ সারা দেশের আইসিইউ, সিসিইউ, আইটিইউ। সদ্যোজাত থেকে প্রবীণ—তারা ছাড় দিচ্ছে না কাউকেই। বুক, পেট, অন্ত্র বা ইউরিনের ঘাতক সংক্রমণ, রক্তের প্রাণঘাতী ইনফেকশন, প্রায় সবেতেই রয়েছে এদের হাত। ‘দাগী’ অপরাধীদের যেমন বিশেষভাবে চিহ্নিত করে বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা, ঠিক তেমনই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আলাদা করে চিহ্নিত করে তাদের নাম দিয়েছে ‘এসকেপ’। অর্থাৎ ই, এস, কে, এ, পি, ই। ইংরাজি বর্ণমালার এই ছ’টি অক্ষর আসলে এই ৬ ‘দাগী’ ব্যাকটেরিয়ার নামের আদ্যাক্ষর! ‘ই’ মানে এন্টেরোকক্কাস ফেসিয়াম, ‘এস’-এর অর্থ স্ট্যাফাইলোকক্কাস অরাস, ‘কে’ অর্থাৎ ক্লেবসিয়েলা নিউমোনি, ‘এ’-এর মানে অ্যাসিনেটোব্যাকটর বাইমনি, ‘পি’ অর্থাৎ সিউডোমোনাস এরুগিনোসা এবং শেষের ‘ই’-এর মানে এন্টেরোব্যাকটর এসপিপি। 


    কতটা চিন্তায় ফেলছে ‘এসকেপ’ ব্যাকটেরিয়াগুলি? চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আইসিইউগুলিতে যত ধরনের সংক্রমণ হয়, তার ৭০ থেকে ৯৯ শতাংশই এখন এই ছ’টি ‘দাগী’ ব্যাকটেরিয়ার কাণ্ডকারখানা। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের রোগীদের নমুনা নিয়ে সমীক্ষা হয়েছিল। তাতে দেখা যায়, যতগুলি নমুনায় ব্যাকটেরিয়া গ্রোথ হয়েছে, তার প্রায় ৮৮ শতাংশ ‘এসকেপ’ গ্রুপের। সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকা নিচ্ছে ক্লেবসিয়েলা ও অ্যাসিনেটোব্যাকটর। তারপরই আসছে সিউডোমোনাস। তাহলে বাঁচার উপায়? এম আর বাঙুর হাসপাতালের এক ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ বলেন, উপায় একটাই। মুড়িমুড়কির মতো অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে এখনই।
  • Link to this news (বর্তমান)