নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: গ্যাংস্টার তথা জুয়েল থিফ সুবোধ সিং এখন নিয়ম করে রামায়ণ-মহাভারত চর্চা করে চলেছে। সঙ্গে পড়ছে ভারতীয় আইন সংক্রান্ত বইও। গোয়েন্দা-পুলিসের জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব বাদে, বাকি সময় নাকি ধর্মগ্রন্থেই ডুবে থাকছে সে। সুবোধের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে। খাওয়া দাওয়ার তেমন কোনও বায়না না থাকলেও, জুয়েল থিফ কিন্তু পুরোপুরি ‘ভেগান’! এহেন একজন লোকের পরিকল্পনায়, তার গ্যাং কীভাবে বিভিন্ন রাজ্যে ‘নন ভেজ’ অপরাধ করে বেড়াচ্ছে, তা এখন পুলিসের ভাবনা-চিন্তার বিষয়। শনিবার বেলা দেড়টা নাগাদ বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী পরণে ট্র্যাক স্যুট, ঘিয়ে রংয়ে টি শার্ট, পায়ে হাওয়া চটি, হেলমেট পরিয়ে সুবোধ সিংকে বারাকপুর আদালতে নিয়ে আসে। গত ১৫ জুন ব্যবসায়ী অজয় মণ্ডলের গাড়ি লক্ষ করে গুলি বৃষ্টির সময় যে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল, তার খোঁজেই ফের তাকে নিজেদের হেফাজতে নিল পুলিস।
তার আইনজীবী কমলজিৎ সিং বলেন, এই মামলায় সাত দিন পুলিস হেফাজতে ছিল সে। কোনও ডেভেলপমেন্ট হয়নি। গত সাত বছর জেলে রয়েছে। অস্ত্র পাবে কী করে? তদন্তকারী অফিসার প্রকাশ ধাড়ার বক্তব্য বিচারক প্রার্থনা বন্দ্যেপাধ্যায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে অস্ত্র ব্যবহার হয়েছিল, বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে আরও পুলিস হেফাজত দরকার। এবিষয়ে সরকারি আইনজীবী যদুনাথ ঘোষ জানান, যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়েছিল সেটি উদ্ধার করতে এবং এই ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তার করতেই সুবোধ সিংকে সাতদিনের জন্য পুলিস হেফাজতের আবেদন করা হয়। বিচারক সুবোধ সিংকে ছ’দিনের পুলিসি হেফাজতে পাঠিয়েছেন। আদালত থেকে তাকে কড়া পাহারায় বেলঘড়িয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (সাউথ) অনুপম সিং জানান, শ্যুটআউটের মামলার তদন্ত অনেকটাই এগিয়েছে। তদন্ত প্রক্রিয়া আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সুবোধ সিংকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ধৃতের বয়ান যাচাই করে দেখা হচ্ছে।