নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: দিন দিন বারাকপুর মহকুমা আদালতে মামলার সংখ্যা বাড়ছে। এলাকায় বাড়ছে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ। পুলিস গ্রেপ্তার করে কোর্টে হাজির করছে ইন্টার স্টেট গ্যাংস্টারদের। স্বাভাবিকভাবেই ভিড় বাড়ছে বারাকপুর আদালতে। অথচ চার বছর আগে নতুন আদালত ভবন তৈরি হলেও নানা ধরনের পরিকাঠামোর অভাব রয়ে গিয়েছে। সবচেয়ে বড় অভাব গাড়ি পার্কিংয়ের কোনও ব্যবস্থা নেই। নেই ক্যান্টিন, মহিলাদের বাথরুম। এখনো বসানো হয়নি সিসি ক্যামেরা। এছাড়া সিঁড়িতে, দোতালায় কোর্টের বারান্দায় টেবিল চেয়ার নিয়ে বসে থাকেন আইনজীবীরা। মামলার চাহিদা থাকলেও সিভিল জাজ সিনিয়র ডিভিশন না থাকায় বারাকপুর মহকুমার মানুষকে বারাসাত জেলা আদালতে যেতে হয়।। আইনজীবীরা বারবার দরবার করেও এখনও এই বিচারক পাননি। বৃহস্পতিবার জেলা জজ সুদীপ্তকুমার দে বারাকপুরের আদালত ভবন ঘুরে দেখেন।
বর্তমানে এখানে ১৫টি কোর্ট চলছে। এই আদালতের অধীনে ২৮টি থানা রয়েছে। মামলা করতে নিত্য আসেন বারশো আইনজীবী। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের এখানে আনাগোনা। কিন্তু সেখানে পানীয় জলের সুব্যবস্থা নেই, বাথরুমের কোনও ব্যবস্থা নেই। বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুশান্ত রায় ও সাধারণ সম্পাদক রবিন ভট্টাচার্য জানান, সিসি ক্যামেরা বসানোর কথা ছিল সেটা হয়নি। অবিলম্বে সিভিল জজ সিনিয়র ডিভিশন কোর্ট দরকার। নাহলে মামলাকারীদের অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। পার্কিংয়ের জন্য আমরা মহকুমা প্রশাসনিক ভবনে কিছু জায়গা দিতে বলেছিলাম। এদিন জেলা জজ আদালতে আসেন। তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি সব ঘুরে দেখেছেন। আশা করছি সমস্যার সমাধান হবে।