সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: পূর্ণিমার কোটালে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়ল নামখানার মৌসুনি দ্বীপের পর্যটন কেন্দ্র। এখানে গড়ে ওঠা প্রতিটি কটেজই অল্পবিস্তর ক্ষতিগ্রস্ত। কটেজ মালিকদের দাবি, ফের নতুন করে সাজিয়ে তুলতে দীর্ঘদিন সময় লাগবে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে মৌসুনি দ্বীপে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে নতুন পর্যটন কেন্দ্র গড়ে ওঠে। ধীরে ধীরে ভ্রমণপিপাসুদের কাছে জনপ্রিয়ও হয়ে ওঠে। বকখালির পাশাপাশি প্রতিদিন প্রচুর পর্যটক এখানেও ঘুরতে আসেন। এখন মোট ৬২টি কটেজ রয়েছে। পূর্ণিমার কোটালে বেশির ভাগই কটেজই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাইরের অংশে বসার জায়গা সহ সমুদ্রে নামার ঘাটগুলি গিয়েছে সম্পূর্ণ ভেঙে।
দেবাশিস সাহা নামে হাওড়া থেকে আসা এক পর্যটক বলেন, ‘গত বছরও এখানে ঘুরতে এসেছিলাম। তখন খুব সুন্দর সাজানো ছিল। সমুদ্রে নেমে স্নানও করেছি। কিন্তু কোটালের পর এসে দেখছি সৌন্দর্য অনেকটাই হারিয়ে গিয়েছে। বসার জায়গাগুলি ভেঙে গিয়েছে। সমুদ্রেও নামা যাচ্ছে না।’ অভিষেক রায় নামে এক কটেজ মালিক বলেন, ‘পূর্ণিমার কোটালে কটেজগুলির প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। আগামী দিনে আরও প্রায় চারটি বড় কোটাল আসবে। নদীর বাঁধ এখনই যদি না মেরামত করা হয় তাহলে শুধু পর্যটনকেন্দ্র নয় পুরো দ্বীপ পড়বে ক্ষতির মুখে। অতীতেও প্রতিটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং বড় বড় কোটালের সময় এই কেন্দ্র ক্ষতির মুখে পড়েছিল। বারবার নতুন করে সাজিয়ে তুলতে হচ্ছে।’ মৌসুনি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আবদুল কাইয়ুম খান বলেন, ‘এই এলাকায় নদীর গতিপ্রকৃতি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম হয়। পূর্ণিমার কোটালে পর্যটন কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতা অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে যতটা কাজ করা সম্ভব, তা করা হচ্ছে। বিষয়টি সেচদপ্তরকেও জানানো হয়েছে।’