• আটদিন বসে থাকার পর শনিবার ইলিশ ধরতে ফের সমুদ্রে পাড়ি মৎস্যজীবীদের
    বর্তমান | ২৮ জুলাই ২০২৪
  • স্বপন দাস, কাকদ্বীপ: প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রায় আট দিন সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। সে কারণে কাকদ্বীপ, সাগর, পাথরপ্রতিমা ও নামখানার কয়েক হাজার ট্রলার দাঁড়িয়ে ছিল বিভিন্ন ঘাটে। শুক্রবার থেকে সমুদ্রে যাওয়ার জন্য আবার শুরু হয় ব্যস্ততা। নতুন করে তেল, বরফ ও মাছ ধরার প্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে তুলতে শুরু করেছেন মৎস্যজীবীরা। শনিবার নিষেধাজ্ঞা উঠে গিয়েছে। ফলে শুক্রবার রাত থেকেই সব ট্রলার সমুদ্রের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। ইলিশের মরশুমে দীর্ঘদিন সমুদ্রে যেতে না পেরে ক্ষতির মুখে বহু মৎস্যজীবী। এবার খরা কাটার আশায় বুক বাঁধছেন।


    মৎসজীবীদের বক্তব্য, ১৫ জুলাই প্রচুর ট্রলার সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য পাড়ি দিয়েছিল। কিন্তু একদিন পরেই সব ট্রলারকে উপকূলে ফিরে আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। তখন ট্রলারে বরফ সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী ভর্তি ছিল। সমুদ্রে মাছ না ধরে প্রশাসনের নির্দেশে সবাইকেই ফিরে আসতে হয় বলে তেল অপচয় হয়। প্রচুর ক্ষতি হয়। আট দিন ধরে পড়ে থাকায় বরফ প্রায় গলে গিয়েছে। ফলে নতুন করে তেল, বরফ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিতে হচ্ছে। সজল বিশ্বাস নামে এক মৎস্যজীবী বলেন, ‘প্রায় দেড় মাস হয়ে গেল সমুদ্রে ইলিশের দেখা নেই। প্রচুর ক্ষতির মুখে পড়েছেন মৎস্যজীবীরা।’ সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, ‘শনিবার থেকে আবারও ট্রলারগুলি ইলিশ ধরার জন্য সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছে। ইলিশ পাওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত সমুদ্রে পশ্চিমী হাওয়া বইছিল। এবার পূবের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এছাড়া বৃষ্টিও নেমেছে। সমুদ্রে ইলিশ মাছ পাওয়ার এখন অনুকূল পরিবেশ।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)