‘বন্ধুর কথায় সম্মানহানি হয়েছে, নিজের জীবন শেষ করে দিচ্ছি!’ ফেসবুক লাইভে কলেজ ছাত্রের সুইসাইড-বার্তা
বর্তমান | ২৮ জুলাই ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘বন্ধুর বাড়ি গিয়েছিলাম। সেখানেই ও আমাকে অপমান করে। আমার সম্মানহানি হয়েছে। তাই জন্য আমি নিজেকে শেষ করে দিচ্ছি। বাড়ি পৌঁছেই আমি নিজের জীবন শেষ করে দেব!’
ঘড়ির কাঁটায় রাত তখন ১১টা। ফেসবুক লাইভে এমন একটি বার্তা দেন পর্ণশ্রী থানা এলাকার বাসুদেবপুরের এক কলেজ ছাত্র। বার্তাটি নিমেষে ভাইরাল হয়ে যায়। এক গ্রাহকের সৌজন্যে সুইসাইড বার্তাটি পৌঁছে যায় লালবাজারের কন্ট্রোল রুমেও। তারপর শুক্রবার গভীর রাতেই অভিযানে নামে পর্ণশ্রী থানা। আত্মহত্যার ঠিক আগে পৌঁছে গিয়ে যুবকের প্রাণ বাঁচায় পুলিস। তারপর ভোর চারটে পর্যন্ত কাউন্সেলিং করা হয় ছাত্রটির।
কলকাতা পুলিস সূত্রে খবর, যখন ফেসবুক লাইভ লালবাজারের কন্ট্রোল রুমে এসে পৌঁছয়, তখন যুবকের সম্পর্কে কোনও তথ্যই তাদের কাছে ছিল না। তবে যিনি পুলিসকে বিষয়টি জানান, তিনি যুবকটির স্কুলের বন্ধু। সেই সূত্রে তাঁর কাছে পুরনো একটি ফোন নম্বর আছে। তবে বর্তমান বাসস্থানের ঠিকানা নেই. অগত্যা সেই ফোন নম্বর সূত্রে খোঁজখবর শুরু করে পর্ণশ্রী থানার পুলিস। একের পর এক বাড়িতে ঢুকে খোঁজখবর শুরু হয়। অবশেষে জানা যায়, পর্ণশ্রী এলাকার যুবকটির বাড়ি। পাশাপাশি বর্তমানে ব্যবহৃত ফোন নম্বরটিও চিহ্নিত করেন উর্দিধারীরা। থানার তরফ থেকে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে দেখা যায় ছাত্রটির ফোন বন্ধ। শেষমেশ বাড়িতে পৌঁছে যায় পুলিস। এবং ছাত্রটির প্রাণ বাঁচান পর্ণশ্রী থানার তিন পুলিসকর্মী। সব দেখে হতবাক হয়ে যায় যুবকটির পরিবার। পরে বিষয়টি বিশদে জানার পর কলকাতা পুলিসকে ধন্যবাদ জানান যুবকের মা। উল্লেখ্য, এর আগেও গরফা থানা এলাকাতে একই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছিল গতবছর। ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন এক ব্যক্তি। সেখানেও সঠিক সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাণ বাঁচিয়েছিল গরফা থানার পুলিস।