নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ফাঁদে ফেলে শেক্সপিয়র সরণি এলাকার এক হোটেলে ডেকে আনা হয়েছিল। এরপর সোনার গয়না নিয়ে বদলে নকল সোনার বাট দিয়ে উধাও হয় প্রতারক। খোয়া যাওয়া অলঙ্কারের মূল্য পাঁচ কোটি টাকা বলে দাবি পুলিসের। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মূল অভিযুক্ত সহ তিনজনকে শনিবার গ্রেপ্তার করেছে শেক্সপিয়ার সরণি থানার পুলিস। তার মধ্যে রয়েছে বউবাজারের এক সোনার কারবারি। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে সাড়ে সাত কেজি সোনার গয়না।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী স্বর্ণব্যবসায়ী অলঙ্কার তৈরি করে সরবরাহ করেন। অভিযুক্তরা আগে সোনার বাট দিয়ে গয়না করিয়েছে। এভাবে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের পর প্রতারকরা অভিযোগকারীকে শেক্সপিয়র সরণি এলাকায় ডেকে পাঠায় শনিবার সকালে। সঙ্গে সোনার গয়না নিয়ে আসতে বলে। সেইমতো তিনি সাড়ে সাত কেজি ওজনের গয়না তৈরি করে নিয়ে যান। তা দেওয়ার পর তাঁকে একটি বার দেওয়া হয়। সেটি আসল কি না জানতে তিনি পরীক্ষা করতে পাঠান। তখন বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে কাজ আছে বলে হোটেল ছাড়ে অভিযুক্তরা। এদিকে পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর অভিযোগকারী জানতে পারেন, এটি জাল সোনার বাট। তখন তিনি অভিযোগ করেন শেক্সপিয়র সরণি থানায়। তদন্তে নেমে পুলিস মোবাইলের সূত্র ধরে জিতেন পাল নামে এক সোনার কারবারিকে চিহ্নিত করে। তাকে গ্রেপ্তার করা হয় মুচিপাড়া এলাকা থেকে। জিতেনকে জেরা করে আরও দুই অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেন তদন্তকারীরা। জানা যায়, তাদের একজন বাংলাদেশি। এরপর ওই দু’জনকে ধরা হয়। জিতেনকে সঙ্গে নিয়ে মুচিপাড়ার একটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় সমস্ত অলঙ্কার।