• স্কুলে মাত্র একজন শিক্ষক, নিজেদের ক্লাস শেষ হলেই উঁচু ক্লাসের পড়ুয়ারা যায় নিচু ক্লাসে পড়াতে!...
    আজকাল | ২৮ জুলাই ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাত্র একজন শিক্ষক। তাই নিজেদের ক্লাস শেষ হওয়ার পরেই ছাত্ররা ছুটছে নিচুতলার ক্লাস নিতে। এরকমই অবস্থা মালদহের একটি স্কুলে। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গাংনদিয়া বাংরুয়া মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের।

    স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাহানুল হক। তাঁকে স্কুলের সমস্ত কাজ সামলানোর পাশাপাশি মিড ডে মিলের বাজারও করতে হয়। তিনি যখন ক্লাস নিতে যান তখন ফাঁকা থাকছে অন্য ক্লাসগুলি। সামাল দেয় উঁচু ক্লাসের পড়ুয়ারা। কীভাবে স্কুল চলবে? দুশ্চিন্তায় প্রধান শিক্ষক-সহ পড়ুয়াদের অভিভাবকরা।

    পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এই স্কুলে ছাত্র সংখ্যা ৮১ জন। ২০০১ থেকে স্কুলটি চালু হয়। ২০০৩ সালে সরকারি অনুমোদন পায়। সেইসময় দু'জন শিক্ষকের বেতন চালু হয়। ধাপে ধাপে ছয়জন শিক্ষকের বেতন চালু হয়। পরে এক শিক্ষকের মৃত্যু হয় এবং চারজন শিক্ষক অবসর নেন।

    এরপর থেকে স্কুলে আর কোনও শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। ২০২২ থেকে এক শিক্ষকের ঘাড়ে ভর করেই চলছে স্কুল। কিন্তু প্রয়োজনীয় শিক্ষক না থাকায় ৮১ জন পড়ুয়াদের মধ্যে মাত্র ৩০-৩৫ জন ছাত্র নিয়মিত আসে।

    প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, তিনি শিক্ষক চেয়ে ব্লক, জেলা ও রাজ্যে আবেদন করলেও সুরাহা হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা হাসিনা বিবি-সহ অন্যরা জানিয়েছেন, গ্রামে স্কুল তৈরি হওয়ার পর খুব আনন্দ পেয়েছিলেন। কিন্তু এখন ছাত্র থাকলেও শিক্ষক নেই। এভাবে হয়তো একদিন শিক্ষক শূন্য হয়ে পড়বে স্কুল। তখন?
  • Link to this news (আজকাল)