• ব্যবসায়িক বিবাদের জেরে যুবককে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর, দুই পার্টনারের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ পরিবারের ...
    আজকাল | ২৮ জুলাই ২০২৪
  • মিল্টন সেন, হুগলি: দুই পার্টনারের মধ্যে অংশীদারি নিয়ে বিবাদ চরমে। মারধর, অভিযোগ গড়াল থানা পর্যন্ত। ঘটনাটি ঘটেছে কোন্নগর ২৪ পল্লী এলাকায়। জানা গেছে, কয়েকজন প্রোমোটার একত্রে একটি আবাসনের নির্মাণ কাজ শুরু করেছিলেন। সব চলছিল ঠিকঠাক। সম্প্রতি অংশীদারি নিয়ে অংশীদারদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। তার থেকে অশান্তি চরমে পৌঁছয়।

    অরিজিৎ বসু নামক এক অংশীদারকে রাতের অন্ধকারে ডেকে ব্যাপক মারধর করে হয়। অভিযোগ, সম্পূর্ণ বিষয়টাই আগে থেকে পরিকল্পনা করা ছিল। হঠাৎ রাতে তাঁকে ডেকে নিয়ে যান তাঁরই পার্টনার বিজয় দাস এবং প্রদীপ ভট্টাচার্য। যেখানে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে আগে থেকেই কিছু লোকজন হাজির ছিল। অরিজিৎ সেখানে পৌঁছতেই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। খবর পেয়ে অরিজিতের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বসু ও তাঁর পরিবার সেখানে পৌঁছয়। স্বামীকে ছড়ানোর চেষ্টায় তাঁদেরকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বর্তমানে অরিজিত বসু কোন্নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

    প্রিয়াঙ্কা বসুর অভিযোগ, তাঁর চোখের সামনে লোহার রড দিয়ে তাঁর স্বামীকে মারধর করে হয়েছে। প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। শিরদাঁড়ায় ভারি কিছুর আঘাতে বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁর স্বামী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অন্যদিকে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধেই আক্রমণ ও মারধর করার মিথ্যে রটনা করছেন বিজয় দাস। ঘটনার পর অরিজিৎ বসুর পরিবারের তরফে দুই পার্টনার বিজয় দাস এবং প্রদীপ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে উত্তরপাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    প্রিয়াঙ্কা আরও অভিযোগ করেছেন, তাঁকে ক্রমাগত ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে কোন্নগর পুরসভার পুরপ্রধান স্বপন দাস বলেছেন, দুই পার্টনারের নিজেদের মধ্যে ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গোলমাল। যদি কেউ কাউকে অন্যায়ভাবে মারধর করে থাকে, তাহলে পুলিশ আইনত যা ব্যবস্থা গ্রহণ করার তা করবে। ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। এর মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের কেউ হস্তক্ষেপ করবে না। মারধর করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজয় দাস। তিনি বলেছেন, ব্যবসায়ীক হিসেব সংক্রান্ত বিবাদ থেকেই নিজেদের মধ্যে এই গন্ডগোল। তাঁর অভিযোগ, অরিজিত বসু এবং তাঁর শ্যালক তাঁকে আগে আক্রমণ করেছেন। তিনি শুধুমাত্র নিজে আত্মরক্ষা করেছেন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ।
  • Link to this news (আজকাল)