দেবব্রত ঘোষ: বালি পুরসভার ফিন্যান্স অফিসারকে বদলির ঘটনায় তোলপাড় প্রশাসনিক মহল। এই ঘটনায় আরও কিছু তথ্য সামনে আসছে। ওই অফিসারের অভিযোগের ভিত্তিতে ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে স্পেশাল অডিট রিপোর্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই কাজের জন্য চারজন স্পেশ্যাল অফিসার নিয়োগ করতে বলা হয়েছে।
সিপিআইএম নেতা ও আইনজীবী সব্যসাচী চ্যাটার্জি বলেন অডিটর জেনারেলকে দিয়ে তদন্ত করাতে হবে কারণ অনেক বড় দুর্নীতি হয়েছে বলে, তিনি অভিযোগ করেন। তিনি আরও বলেন 'বালি নাগরিক সমিতির পক্ষ থেকে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি লিখে জানানো হয় যে বালি পুর এলাকায় উন্নয়ন হচ্ছেনা। কাজের টেন্ডারের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হচ্ছে। শাসক দলের নেতাদের কাছে লভ্যাংশ পৌঁছে যাচ্ছে'। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের পক্ষ থেকে বালি পুরসভার অ্যাডমিনিস্ট্রেটরকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি দেখতে বলা হয়।
সব্যসাচী বাবুর অভিযোগ এসবের পরেও কিছু লাভ হয়নি। ফিন্যান্স অফিসার কল্যাণ প্রামাণিক তার দফতরের উচ্চ মহলে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন সরকারি নিয়ম না মেনে টেন্ডার ও কাজ হয়েছে বালি পুরসভায়। তাকে সেই কাজের বিল পাশ করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। টেন্ডারের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বালি পুরসভার কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বালি পুরসভার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর তথা হাওড়া সদরের মহকুমা শাসক অমৃতা বর্মন রায়কে শোকজ করতে বলেন। কিন্তু দেখা গেল যে ফিন্যান্স অফিসার প্রতিবাদ করলেন তাকেই বদলি করে দেওয়া হল। তাই এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত বলে দাবি করেন সব্যসাচী চ্যাটার্জী।
জানা গেছে বালি নাগরিক সমিতির পক্ষ থেকে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। বলা হয়, দুর্নীতি রয়েছে। কাজের লাভের টাকা পৌঁছে যায় শাসক দলের কিছু নেতার কাছে। এপ্রসঙ্গে হাওড়া সদরের তৃনমূল যুব নেতা কৈলাশ মিশ্র বলেন দুর্নীতির বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তবে বালি পুর এলাকায় কাজ ঠিকমতো হয়নি।পুরসভার আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন, কাজ হচ্ছিল না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর কিছুটা হলেও নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।