রণজয় সিং: থাইল্যান্ডের ফল চাষ করে নতুন দিশা দেখাচ্ছেন মালদহের যুবক। দেখতে অনেকটা লিচুর মতো তবে আকারে একটু ছোট গোলাকার এই ফল। দেখতে অনেকটা কাঠলিচু বা আঁশ ফলের মতো। কিন্তু এই ফল কাঠলিচু নয়, থাইল্যান্ডের এই ফলের নাম লঙ্গন।
মালদহ তথা উত্তরবঙ্গে প্রথম এই ফল চাষ করছেন দীপক রাজবংশী। পশ্চিমবঙ্গে কাঠলিচুর চাষ হলেও লঙ্গন তেমন ভাবে চাষ হয় না। পুরাতন মালদহের কৃষক দীপক রাজবংশী পরীক্ষামূলক ভাবে তাঁর বাগানে দুটি লঙ্গনের গাছ লাগিয়েছিলেন। আপাতত একটি গাছে গত বছর থেকে ফলন হচ্ছে। বাজারে বিক্রি পর্যন্ত হচ্ছে এই ফল। তবে মালদহবাসী এই ফল সম্পর্কে এখনও ততটা জেনে উঠতে পারেননি হয়তো। তাই দামও খুব একটা মিলছে না। গত বছর তিনি এই ফল পাইকারি মূল্যে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছিলেন। তবে সাধারণত এই ফল বাজারে প্রায় ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়ে থাকে।
থাইল্যান্ডের এই ফলের গাছ দীপক রাজবংশী রায়গঞ্জের একটি নার্সারি থেকে নিয়ে এসেছিলেন। ফলটি বেশ ভাল চাহিদা রয়েছে বাজারে। এমনকি এই ফল লিচু ও কাঠলিচুর পরে পাকতে শুরু করে। তাই বাজারে এই ফল ব্যাপক দামে বিক্রিও হচ্ছে। খেতেও লিচুর থেকে অনেক সুস্বাদু ও মিষ্টি।
তাই আগামীতে এই থাইল্যান্ডের ফলের বাগান তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে দীপক রাজবংশীর। কারণ বাণিজ্যিকভাবে এই ফল চাষ করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনাও যথেষ্ট রয়েছে। পাশাপাশি, এই ফল খেতেও ভাল। এমনকি মালদহের মাটিতে এই গাছ সহজেই বাড়ছে। ফলে গাছের তেমন পরিচর্যারও প্রয়োজন হচ্ছে না। সহজেই গাছ হয়ে যাচ্ছে। তাই আগামীতে এই ফল চাষ করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন দীপকবাবু।