ভবানন্দ সিংহ: রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছিল এক তৃতীয় শ্রেণীর পড়ুয়া। এরপরেই অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাকে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রায়গঞ্জের কশবামাহাসো এলাকায়। শনিবার রাতে ঘটনার অভিযোগ নিয়ে রায়গঞ্জ থানার দ্বারস্থ হয় বালকের পরিবার। এরপরেই অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার হয় ওই বালক। কিন্তু কী কারণে খুনের চেষ্টা বছরের ৯-এর এই বালককে?
জানা গেছে তৃতীয় শ্রেণীর এক পড়ুয়াকে খুনের চেষ্টা করা হয়। বাড়ির পাশের নির্মীয়মান ভবন লাগোয়া ঝোপঝাড়ে অচৈতন্য আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া ওই বালককে। দেহে একাধিক আঘাতের ছোপ দাগ ও গলায় কষে বাধার দাগ দেখে দড়ি বা গামছা জাতীয় কিছু দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য রায়গঞ্জ থানার কসবামহেশো গ্রামে। গুরুতর যখম ওই বালক রায়গঞ্জ মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন।
জানা গেছে কসবামহেশো গ্রামের বাসিন্দা তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র নিউস মার্ডি নামে ৯ বছরের ওই বালক শুক্রবার বিকেলে বাড়ির পাশেই একটি নির্মীয়মান ভবনের দিকে খেলতে যায়। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ হয়ে যায় বলে পরিবারের দাবি। অনেক খোঁজ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অবশেষে শনিবার সকালে ওই নির্মীয়মান ভবনের পাশে ঝোপঝাড়ে তাকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হেমতাবাদ গ্রামীন হাসপাতাল ও পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে রায়গঞ্জ মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়।
৯ বছরের ওই বালকের শরীরে একাধিক জায়গায় মারধরের স্পষ্ট দাগ রয়েছে এবং গলায় গামছা বা দড়ি জাতীয় কিছু দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে খুনের চেষ্টা করা হয়। তার দাগও গলায় আছে বলে অভিযোগ করেন পরিজনেরা। ঘটনায় দিলীপ রায় নামে কর্নজোড়ার রায়পাড়ার বাসিন্দা এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে শনিবার রাতে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিত বালকের পরিবার। অভিযুক্তকে পুলিস ইতোমধ্যেই গ্রেফতারও করেছে বলে জানা গেছে।
তবে কী কারণে এই ঘটনা তা এখনও স্পষ্ট নয়, পরিবারের লোকেদের কাছে। ঘটনায় আতঙ্কিত ওই বালক ও তার পরিবার। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বালকের মা ও প্রতিবেশীরাও। ঘটনার তদন্তে নেমে হতবাক পুলিসের তদন্তকারী আধিকারিকরাও বলে পুলিস সুত্রে খবর। কেনও একটি বালকের উপরে এভাবে নির্মম নির্যাতন করল অভিযুক্ত, সেই কারণ খুঁজতে যখন হিমশিম খাচ্ছে পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকরা, সেই সময়ে নাকি সকলকে অবাক করে দিয়ে ওই নির্মম নির্যাতনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্ত, এমনটাই পুলিস সুত্রে খবর। তবে এই নির্মম নির্যাতনের মোটিভ নিয়ে এখনও ধন্ধে পুলিসের তদন্তকারী আধিকারিকরা। অভিযুক্তকে রবিবার রায়গঞ্জ আদালতে পেশ করবে পুলিস।