প্রদ্যুত দাস: নানান জায়গা থেকে নানান খাবার নিয়ে প্রায়ই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা জানা যাচ্ছে। কখনও মরা টিকটিকি-আরশোলা, কখনও ব্যাং এমনকী আবার কখনও জ্যান্ত ইঁদুর। এই অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় নেটপাড়া। সেই থেকেই নড়েচড়ে বসেছিল প্রশাসন।
এবার বিরিয়ানির দোকান সহ বিভিন্ন খাবারের দোকানে হানা জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের। ফুড সেফটি, পুরসভা এবং পুলিসের যৌথ উদ্যোগে জলপাইগুড়ি শহর এবং ধুপগুড়ি পুরসভা এলাকায় খাবারের গুণগতমান খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন দোকানে হানা।
জলপাইগুড়ি শহরের উকিল পাড়ার এক রেস্তোরাঁয় অভিযোগের ভিত্তিতে জলপাইগুড়ি জেলাশাসক শ্যামা পারভীনের নির্দেশে সদর মহাকুমা শাসক তমোজিত চক্রবর্তী নেতৃত্বে অভিযান চালায় টাস্ক ফোর্স। ফুড সেফটি আধিকারিক মীনাক্ষী খাডকা বলেন, 'বেশ কিছু অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করা হল। নোটিশও করা হবে। মহকুমা শাসক বলেন, আইন মেনে পদক্ষেপ করা হবে।'
এরই পাশাপাশি, বিভিন্ন খাবাদের দোকানে পরিদর্শনে ধুপগুড়ি পুরসভা এবং প্রশাসন। খাওয়ারের মান যাচাইয়ে এই অভিযান। ধুপগুড়ি শহরের একাধিক বাজারে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীর দোকানে খাদ্যর মান যাচাইয়ে পরির্দশন করেন ধুপগুড়ি পুরসভা এবং ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকেরা। একাধিক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন তারা। পাশাপাশি সন্দেহ হলেই ব্যবসায়ীদের সর্তক করে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই দিনহাটায় অভিযানে নামে স্বাস্থ্য দফতর ও পুরসভার প্রতিনিধিরা। পথে নামতেই সামনে এল চক্ষু চড়কগাছ করা কাণ্ড। ক্ষতিকারক মশলা, পচা মাংস দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিরিয়ানি। এমনকি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না হচ্ছে বিরিয়ানি!
দিনহাটার একটি দোকানে পচা মাংস দেখতে পায় আধিকারিকরা। দেখা মাত্রই সেই মাংস ফেলে দেয় প্রতিনিধি দল। সেই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় একাধিক দোকান। একটি দোকানে সেপটিক ট্যাংকের পাশেই রান্নাঘর বানিয়ে বিরিয়ানি তৈরি করা হত। সেই দোকানও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এনিয়ে দিনহাটা পুরসভার চেয়ারম্যান গৌরিশংকর মাহেশ্বরী জানান, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিরিয়ানি রান্না হচ্ছে। এমন অভিযোগ বেশ কিছুদিন ধরে আসছিল। এরপরই শহরের বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালানো হয়। বেশ কয়েকটি দোকান বন্ধও করে দেওয়া হয়েছে। এদিন প্রতিনিধি দলে ছিলেন দিনহাটা পুরসভার চেয়ারম্যান গৌরিশংকর মাহেশ্বরী, দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডাঃ রণজিৎ মণ্ডল সহ আরও অনেকে।