অর্ণব দাস, বারাকপুর: সম্প্রতি একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে শুদ্ধিকরণের বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। “তৃণমূলকে বিত্তবান নয়, বিবেকবানদের দল হতে হবে”, বলে জোরাল সওয়াল করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বার বার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও শোনা গিয়েছে একই কথা। মমতা-অভিষেকের কথারই অনুরণন শোনা গেল অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীর কথায়। সকলকে ‘সমঝে’ চলার পরামর্শ দিলেন তিনি।
আমডাঙার আওয়াল সিদ্দি চৌমাথায় একটি রক্তদান শিবিরের অনুষ্ঠানে যোগ দেন নারায়ণ গোস্বামী। ওই অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে অশোকনগরের বিধায়ক বলেন, “সবাই খারাপ বলছি না। ২-১জন যদি এমন থাকে তাঁদের জন্য সতর্কবার্তা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ময়দানে নেমে পড়েছেন। আপনি পুজো সদস্য কিংবা পঞ্চায়েত সদস্য। আপনার লেজ ফুলে মোটা হয়ে গিয়েছে। কেউ কাটতে পারবে না। অভিষেক কেটে দেবেন মা বলার সময় পাবেন না। সুতরাং মানুষের অধিকার, মানুষকে দিতে হবে।”
সম্প্রতি বাগদায় উপনির্বাচন হয়। সেই প্রসঙ্গের কথা উল্লেখ করে নারায়ণবাবু আরও বলেন, “আমরা ভোট করাতে বাগদায় গিয়েছিলাম। আমি, তৃণাঙ্কুর, পার্থ, রথীন ঘোষ, সুজিত ঘোষ, নির্মল ঘোষ পড়েছিলাম। ঘুরে দেখেছি মানুষের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। সাংগঠনিক কতিপয় কয়েকজন নেতা, জনপ্রতিনিধির উপর মানুষের রাগ। পয়সা খেয়েছে, সরকারি জমি দখল করে দোকানঘর করেছে। আমরা বললাম, এসব চলবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাঠিয়েছে জমি দখল করে গরিব মানুষের মধ্যে বিতরণ করে দেব। সাইন বোর্ড লাগিয়ে দিয়েছি। তৃণমূল মানে পরিষেবার পার্টি। করে কম্মে খাওয়ার জন্য যারা আছেন, তৃণমূলে তাদের দিন শেষ। আমার নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একথা বলছেন। সুতরাং সমঝে যান।” উল্লেখ্য, সম্প্রতি একের পর এক তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’র ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নারায়ণ গোস্বামীর মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।