ডায়মন্ড হারবার লোকালে বিভ্রাট, প্রায় ৩ ঘণ্টা পর শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় স্বাভাবিক ট্রেন চলাচল
এই সময় | ২৮ জুলাই ২০২৪
ডায়মন্ড হারবার লোকালে আগুনের ফুলকি। সুভাষগ্রাম স্টেশনে তিন ঘণ্টার বেশি সময় দাঁড়িয়েছিল ১২টা ১২-র ডায়মন্ড হারবার লোকাল। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য এক নম্বর লাইন দিয়েই চালানো হচ্ছিল ডাউন ট্রেনও। অর্থাৎ আপ লাইন দিয়েই ডাউন ট্রেন চালানো হয়। দুটি আপ ট্রেন ডাউন লাইন দিয়ে গিয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনটি সুভাষগ্রাম স্টেশন থেকে ছাড়ে ৩টে ৫০ মিনিট নাগাদ। এরপর স্বাভাবিক হয়েছে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার ট্রেন চলাচল। আপ এবং ডাউন দুটি লাইনেই ট্রেন চলাচল শুরু হয়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনটিও সুভাষগ্রাম ছেড়েছে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ট্রেন পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।এ দিন ১২টা ১২-র ডায়মন্ড হারবার লোকালে আচমকাই আগুনের ফুলকি দেখা যায়। এরপর স্টেশনেই দাঁড়িয়েছিল ট্রেনটি। রেল সূত্রে খবর, ব্রেক বাইন্ডিংয়ের জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। এই ডায়মন্ড হারবার লোকালটি সুভাষগ্রামে আটকে পড়ায় তার পেছনের একাধিক ট্রেন থমকে যায় বিভিন্ন স্টেশনে। চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। এরপরেই আপ লাইন দিয়ে ডাউন ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার ফলে সোনারপুর-বারুইপুর-লক্ষ্মীকান্তপুর এবং সোনারপুর-বারুইপুর-ডায়মন্ড হারবার শাখার ট্রেন চলাচল প্রভাবিত হয়েছে। তবে শিয়ালদা-বজবজ এবং শিয়ালদা-ক্যানিং শাখায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ডায়মন্ড হারবার লোকালের যাত্রীদের আপ লাইন দিয়ে যাওয়া অন্য ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়।
যতক্ষণ না পর্যন্ত দুর্ঘটনাগ্রস্ত ডায়মন্ড হারবার লোকালটিকে সরানো সম্ভব হচ্ছে ততক্ষণ সিঙ্গল লাইন দিয়েই সোনারপুর এবং বারুইপুরের মধ্যে ট্রেন চলাচল করবে, এই সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। অবশেষে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনটিকে সরানো সম্ভব হয়েছে।
এই ঘটনায় চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা। রবিবার তুলনামূলক যাত্রী সংখ্যা কম থাকে। কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ এই লাইনে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় রেল পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন যাত্রীরা। নারায়ণ দাস নামক ডায়মন্ড হারবার লোকালের যাত্রী বলেন, ‘আচমকাই ট্রেনটি বন্ধ হয়ে যায়। সকলে বলে চাকা থেকে নাকি আগুনের ফুলকি দেখা গিয়েছিল। তারপর দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। এতে বিস্তর সমস্যায় পড়েছি।’ একই সুর শোনা গিয়েছে আরও যাত্রীদের কণ্ঠে।