• জঙ্গল ছেড়ে ছুটির দিনে শহরে 'রামলাল', দেখুন ভিডিয়ো
    এই সময় | ২৮ জুলাই ২০২৪
  • 'সানডে আউটিং'-এ রামলাল। হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে ঘুরে দেখল। বাসস্ট্যান্ড, অফিস-কাছারি কোনও কিছুই বাদ পড়ল না। এদিকে রামলালের পিছনে পিছনে বিরাট ভিড়! কিন্তু, ঝাড়গ্রাম শহরে সুঁড় নাড়িয়ে ঘুরে বেড়ানো অতিথি বড়ই আত্মকেন্দ্রিক। কাউকে পাত্তা না দিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াল চারিপাশ। অবশেষে বনদপ্তরের হস্তক্ষেপে 'ঘরের পথে' রামলাল।জঙ্গলমহলের দাঁতাল হাতি রামলালের জনপ্রিয়তা নেহাত কম নয়। রবিবার ভোরের আলো ফুটতেই রামলাল ঝাড়গ্রাম শহরে খাবারের সন্ধানে ঢুকে পড়ে। এদিকে তার শহরে আসার খবর শুনেই বহু মানুষ ভিড় জমায়। সকাল ৬টা থেকে ৮টা- প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে শহরের মধ্যে ঘুরপাক খায় রামলাল। এরপর বনদপ্তরের প্রচেষ্টায় তাকে জঙ্গলে পাঠানো হয়। যদিও শহরে এসে রামলাল আগাগোড়াই ছিল সংযত। কোনও ক্ষয়ক্ষতি সে করেনি।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে ঝাড়গ্রাম শহর লাগোয়া শ্রীরামপুরের দিক থেকে রামলাল ঝাড়গ্রাম পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বেনাগেড়িয়া হয়ে শহরে ঢুকে পড়ে। সেখান থেকে সে ফনিরমোড়ে পৌঁছে যায়। এরপর সে চলে যায় টেলিকম এক্সচেঞ্জ অফিসের রাস্তায়।

    তারপর কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডের সামনে হেলে দুলে বেশ কিছুক্ষণ ঘুরে রামলাল ঢুকে পড়ে সেরিকালচারের অফিসে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ কাটানোর পর রামলাল ঝাড়গ্রাম শহরের কাঁটাবাড়ি এলাকায় অবস্থিত হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে ঢুকে পড়ে। ছুটির দিনে এই গ্রাউন্ডের আগাগোড়া ঘুরে দেখে সে। এদিকে সেই সময় তার পিছনে বহু ভিড়। শান্ত স্বভাবের রামলাল কোনও পরোয়া না করেই ঘুরে যাচ্ছিল নিজের মতো।

    এদিকে রামলালকে 'ঘরে ফেরাতে' উদ্যোগ নেয় বন দপ্তর। ঝাড়গ্রামের ডিএফও উমর ইমাম বলেন, 'শহরে একটি হাতি প্রবেশ করেছিল। তাকে নিরাপদে বার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কোনও ক্ষয়ক্ষতি করেনি। সাধারণ মানুষের কাছে অনুরোধ হাতিটিকে কোনওভাবেই উত্যক্ত করবেন না।' ঝাড়গ্রাম শহরে মাঝে মধ্যে হাতি চলে আসে। কোনওভাবেই সেই হাতিগুলির কাছে সাধারণ মানুষ যাতে না যান, সেই বিষয়ে সচেতন করা হয়েছে বন দপ্তরের তরফে।
  • Link to this news (এই সময়)