প্রাথমিক দুর্নীতিতে নাম জড়াল অনুব্রত ঘনিষ্ঠ শিক্ষা ব্যবসায়ী মলয় পিঠের
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ জুলাই ২০২৪
কয়লা ও গরুপাচারকাণ্ডে জেলবন্দি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ মলয় পিঠের নাম জড়াল প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে। অভিযোগ টাকার বিনিময়ে প্রচুর বেআইনি নিয়োগের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। সিবিআইয়ের হাতে এই সংক্রান্ত অকাট্য প্রমাণ এসেছে বলে সূত্রের খবর।
পড়তে থাকুন - রাজ্যের বিরুদ্ধে পালটা বঞ্চনা ও অসৌজন্যের অভিযোগ বিধানসভায় ধরনায় বসবেন শংকর ঘোষ
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বীরভূমের শিক্ষাব্যবসায়ী মলয় পিঠের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠতা কারও অজানা নয়। নিজেও এব্যাপারে কোনও গোপনীয়তা রক্ষা করার চেষ্টা করেননি মলয়বাবু। রাজ্যে একাধিক বিএড কলেজ, ডিএলএড প্রতিষ্ঠান, নার্সিং ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মালিক তিনি। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে ২০১১ সালে বেসরকারি ডিএলএড কলেজ মালিক সংগঠনের হত্তা কত্তা হয়ে ওঠেন মলয় পিঠ। ২০১৭ সাল পর্যন্ত ওই সংগঠনে প্রশ্নাতীত প্রভাব ছিল তাঁর। এই সময়ে টাকার বিনিময়ে বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েকশ যুবক যুবতীকে অবৈধ উপায়ে চাকরি দেন তিনি। চাকরি সংক্রান্ত লেনদেনের জেরে মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গেও তাঁর সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
ইতিমধ্যে মলয় পিঠকে একাধিকবার জেরা করেছে সিবিআই। তাঁর কাছ থেকে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। এমনকী তাঁর বাড়িতে একাধিকবার তল্লাশিও চালিয়েছে সিবিআই।
অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর প্রকাশ্যে আসে যে গাড়িগুলি তিনি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতেন তার একটি মলয় পিঠের সংস্থার নামে নথিভুক্ত। বোলপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে মলয় পিঠের নামে অনুব্রত মণ্ডল বিনিয়োগ করেছেন বলেও অভিযোগ বিরোধীদের। এবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতেও উঠে এল মলয় পিঠের নাম। এবার দেখার সিবিআই তার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।