মোদীর জমানায় রাজ্যের প্রাপ্তি বেড়েছে ১০ গুণ, তথ্য দিয়ে দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ জুলাই ২০২৪
বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে ওয়াক আউট করছেন ঠিক তখনই কলকাতায় বসে তাঁর অভিযোগ ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়ত। তথ্য দিয়ে দাবি করলেন, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্যের তোলা অভিযোগ ভুয়ো ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
পড়তে থাকুন - রাজ্যের বিরুদ্ধে পালটা বঞ্চনা ও অসৌজন্যের অভিযোগ বিধানসভায় ধরনায় বসবেন শংকর ঘোষ
শনিবার বিজেপির রাজ্য সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে বাজেরে বাংলার প্রাপ্তি বুঝিয়ে বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মোদী সরকার আসার আগে রাজ্য ১০ বছরে কেন্দ্রের কাছ থেকে ১ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকা পেয়েছিল। শুধুমাত্র গত ৫ বছরে মোদী সরকার পশ্চিমবঙ্গকে ৫ লক্ষ ৩৬ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনায় পশ্চিমবঙ্গ অতিরিক্ত ৮০ হাজার কোটি টাকা পেয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম বাড়ায় পশ্চিমবঙ্গকে অতিরিক্ত ৩০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। তাই রাজনীতি করার জন্য জনতার সামনে বঞ্চনার অভিযোগ তোলা অনুচিত।’
রেল প্রকল্পে বঞ্চনার অভিযোগ উড়িয়ে গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়ত বলেন, ‘রেলওয়েতে ২০০৪ – ২০১৪ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ ৪,০৯১ কোটি টাকা পেয়েছিল সেখানে শুধুমাত্র এই বাজেটে ১১,৯০০ কোটি টাকা পশ্চিমবঙ্গের রেল পরিকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দ করা হয়েছে।’
বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় প্রকল্প লাগু করায় অপদার্থতার অভিযোগ তোলেন মন্ত্রীমশাই। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার সময় দেশে ৩ কোটি বাড়িতে নলের মাধ্যমে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছত। আর এখন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে দেশের প্রায় ১৪ কোটি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছয়। দেশের একাধিক রাজ্য ১০০ শতাংশ বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতে পেরেছে। সেই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ সবার পিছনে রয়েছে। কেন এই পশ্চিমবঙ্গের এই হাল, তা মমতা দিদিকে প্রশ্ন করা উচিত। পশ্চিমবঙ্গকে এজন্য ১৯,৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। আর পশ্চিমবঙ্গ এখনও মাত্র ১১ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে পেরেছে। পানীয় জলের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও বাজেট বরাদ্দের পুরোটা খরচ করতে পারেনি পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গে এখনও ৫০ শতাংশ বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছয়নি। যেখানে উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্যে ৮০ শতাংশ বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে গিয়েছে।’