শুভেন্দুর বক্তব্যের জের, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে নদিয়ার সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা
এই সময় | ২৯ জুলাই ২০২৪
গেরুয়া শিবিরে ভাঙন। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন নদিয়া উত্তরের সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি রফিকুল সেখ। তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক রুকবানুর রহমানের হাত থেকে রবিবার তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি। কয়েকদিন আগেই বিজেপি বিধায়ক ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল ‘সংখ্যালঘু মোর্চা’ তুলে দেওয়ার ব্যাপারে। তারপরেই কি এই সিদ্ধান্ত? শুরু জল্পনা।কিছুদিন আগেই বিজেপির কর্মী বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘আমিও বলেছি রাষ্ট্রবাদী মুসলিম। সবকা সাথ, সবকা বিকাশ। কিন্তু আর বলব না। বলব, জো হমারে সাথ, হম উনকে সাথ। সবকা সাথ, সবকা বিকাশ বন্ধ করো। সংখ্যালঘু মোর্চার কোনও প্রয়োজন নেই।’ শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যের পরেই জোর চর্চা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সামনেই এই বক্তব্য পেশ করেন তিনি।
এক সপ্তাহের মধ্যেই বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার নেতার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান। দল ছাড়লেন বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি রফিকুল সেখ। কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমানের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগাদান করেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘বিজেপি সাম্প্রদায়িক দল। সবসময় ভেদাভেদ সৃষ্টি করে এবং শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের জেরেই আমি দল ছাড়লাম।’ প্রাক্তন বিজেপি নেতার সংযোজন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জোয়ার সারা বাংলায় ছড়িয়ে গিয়েছে। সেই উন্নয়নের যজ্ঞে সামিল হতেই তিনি তৃণমূলে যোগদান করলেন।
তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক রুকবানুর রহমানের দাবি, শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির সংখ্যালঘু নেতারা হতাশ। তাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। এরকম আরও অনেক সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা তৃণমূল কংগ্রেসে আগামী দিনে যোগদান করবে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি। যদিও, বিষয়টি নিয়ে বিজেপির নদিয়া উত্তরের মুখপাত্র সন্দীপ মজুমদারের দাবি, এরকম ঘটনার কথা তিনি জানেন না, খোঁজ নিয়ে দেখবেন। তবে, শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে যে বড় প্রভাব ফেলতে চলেছে, তারই প্রমাণ মিলল এদিন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।