• শান্তিপুরে বন্ধুদের সঙ্গে স্নান করতে নেমে ভাগীরথীতে তলিয়ে গেল যুবক
    বর্তমান | ২৯ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: বন্ধুদের সঙ্গে স্নান করতে নেমে ভাগীরথীতে তলিয়ে গেলেন এক যুবক। রবিবার দুপুরে শান্তিপুরের ফুলিয়ার বয়রা কৃত্তিবাস ঘাটের ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। বছর পঁচিশের বকুল মণ্ডলের খোঁজ সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছেন পরিবারের লোকজন।


    ফুলিয়া প্রফুল্লনগরে বাড়ি বকুলের। তিনি ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে চার বন্ধু বকুলের বাড়িতে আসে। তারা বকুলকে নদীতে স্নান করতে যাওয়ার জন্য জোরাজুরি করতে থাকে। পরিবারের সদস্যরা যেতে নিষেধ করেন। কিন্তু, বকুল একপ্রকার রাগারাগি করেই বন্ধুদের সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।


    বয়রা কৃত্তিবাস ঘাটে উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুপুর দেড়টা নাগাদ একটি টোটোয় চেপে পাঁচ যুবক ঘাটে আসেন। বেশ কিছুক্ষণ পর তাঁরা নদীতে নামেন। ঘাট থেকে বেশ কিছুটা দূরে তাঁরা স্নান করছিলেন। কিছুক্ষণ পর নদী থেকে চিৎকার শুনতে পান বাসিন্দারা। এক যুবক জলে তলিয়ে যান। স্থানীয়রা ঘাটের কাছে ছুটে আসেন। কিন্তু, ততক্ষণে স্নান করতে নামা বাকি চার যুবক পালিয়ে যায়।


    স্থানীয় বাসিন্দারাই শান্তিপুর থানা ও ব্লক অফিসে খবর দেন। ঘটনাস্থলে আসে পুলিস। ব্লক অফিসের নির্দেশে বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দলের ৮ থেকে ১০ জন সদস্য নিখোঁজ যুবকের সন্ধানে নদীতে নামেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে নদীতে খোঁজাখুঁজি করেও বকুলের সন্ধান মেলেনি। ভাই নদীতে তলিয়ে গিয়েছে খবর পেয়ে ঘাটে ছুটে আসেন নিখোঁজ যুবকের দিদি দীপিকা বিশ্বাস। তিনি বলেন, ভাইয়ের বন্ধুরা মদ্যপ ছিল বলে আমরা ওদের বাড়িতে ঢুকতে দিইনি। ভাইকে ওদের সঙ্গে যেতে বারণ করেছিলাম। শুনল না আমাদের কথা।


    টোটো চালক অসীম মালাকার বলেন, ঘাটে স্নান করতে নামবে বলে পাঁচজন আমার টোটো ভাড়া করেছিল। ওরা প্রত্যেকেই মদ্যপ অবস্থায় ছিল। 


    বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দলের সদস্য অভিষেক বসু বলেন, সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় নদীতে তল্লাশি চালানো সম্ভব হয়নি। সোমবার সকাল থেকে ফের খোঁজ শুরু করা হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)