ওড়িশার শিক্ষার্থীদের টেরাকোটা ও শোলাশিল্পের প্রশিক্ষণ মঙ্গলকোটে
বর্তমান | ২৯ জুলাই ২০২৪
সংবাদদাতা, কাটোয়া: বাংলার টেরাকোটা ও শোলা শিল্পের কাজ শিখতে রাজ্যে এলেন পড়শি ওড়িশা রাজ্যের শিক্ষার্থীরা। ওড়িশা সরকারের হস্তশিল্প বিভাগের অধীনে থাকা শিল্প ও কারুকলা উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা হাতে কলমে শিখতে এসেছেন বাংলার হস্তশিল্প। তাঁরা মঙ্গলকোটের বনকাপাশিতে বিখ্যাত শোলা শিল্প ও বাঁকুড়ার টেরাকোটার কাজের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। ৩৯ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে ওড়িশা রাজ্যের সরকারি আধিকারিকরাও এসেছেন।
ওড়িশার ভুবনেশ্বরের গণ্ডামুণ্ডা এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত। সেটি ভুবনেশ্বরের হস্তশিল্প দপ্তরের অধীনে। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছ’টি বিভিন্ন রকমের হস্তশিল্পের উপরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পটচিত্র, তালপাতার উপরে হস্তশিল্প, কাঠ ও পাথর খোদাই এসবের উপরেই সেখানকার শিক্ষার্থীরা হস্তশিল্পের উপরে প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকেন। শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বাড়াতে ওড়িশার বাইরে নিয়ে গিয়ে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এবারে তাঁরা মঙ্গলকোটের বনকাপাশির শোলা শিল্প ও বাঁকুড়া জেলার পাঁচমুড়া গ্রামের পোড়ামাটির টেরাকোটা কাজের প্রশিক্ষণ নিতে এসেছেন। এ রাজ্যের শান্তিনিকেতন হয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ নেবেন শিক্ষার্থীরা। ইন্টারনেট ঘেঁটে তাঁরা বাংলার হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ নিতে এসেছেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রয়েছেন ওড়িশার হস্তশিল্প প্রচার অফিসার সান্তা নিবেদিতা সাহু, টেরাকোটা প্রশিক্ষক শান্তিলতা প্রধান, প্রকল্প সমন্বয়কারী বিশ্বজিৎ পাত্র।
মঙ্গলকোটের বনকাপাশি গ্রামে রাষ্ট্রপতি ও শিল্পগুরু পুরস্কার প্রাপ্ত শোলাশিল্পী আশিস মালাকারের বাড়িতে শনিবার যান। সেখানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওড়িশার শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে শোলাশিল্পের উপরে প্রশিক্ষণ দেন। শোলা কাটা, শোলায় নকশা তোলা, শোপিস তৈরির কাজ ওড়িশার শিক্ষার্থীদের হাতেকলমে শেখান আশিসবাবু। তাঁরা রবিবার বাঁকুড়ার টেরাকোটার কাজও শেখেন। আশিসবাবু বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিতে পেরে আমাদেরও ভালো লাগছে। শিল্পের খুঁটিনাটি সবই তাঁদের শেখানো হয়। -নিজস্ব চিত্র