• দাদাগিরির অভিযোগে গ্রেপ্তার তৃণমূল নেতা
    বর্তমান | ২৯ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কালনা: জমি সংক্রান্ত বিবাদ ও প্রাচীর ভাঙাকে কেন্দ্র করে এক মহিলা সহ কয়েকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত কালনা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক গোপাল তেওয়ারিকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। যদিও ধৃত ব্যক্তি দলের কোনও পদে নেই বলে জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বলে কোনও পদের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে তিনি জানান। ধৃত নেতা অত্যন্ত প্রভাবশালী, প্রোমোটারি ও জমির দালালিতে যুক্ত বলে অভিযোগ বিজেপির। ধৃতকে রবিবার কালনা মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন। শহরের চকবাজার এলাকার বাসিন্দা ধৃত গোপাল নিজেকে তৃণমূলের কালনা শহর সাধারণ সম্পাদক বলে দাবি করতেন। দেবনাথপাড়ায় একটি জমি কিনেছেন বলে তাঁর দাবি। শুক্রবার ওই জমিতে প্রাচীর দেন। প্রাচীর দেওয়ার ফলে পাশ্ববর্তী সঞ্জীব পালের পরিবারের যাতায়াতে অসুবিধা হচ্ছিল। শনিবার প্রাচীরের কিছুটা অংশ ভাঙা অবস্থায় ছিল। তারপরই গোপাল দলবল নিয়ে সঞ্জীবের বাড়িতে চড়াও হয়। প্রাচীর ভাঙায় ওই পরিবারকে দায়ী করে মহিলা, বৃদ্ধা সহ অন্যান্যদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারধরের ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যদিও ‘বর্তমান’ ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি। 


    এই ঘটনায় এক বৃদ্ধা, গৃহবধূ সহ কয়েকজন জখম হন। রক্তাক্ত অবস্থায় জখম বধূকে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। বধূর পরিবারের পক্ষ থেকে কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিস রাতে গোপালকে গ্রেপ্তার করে। আক্রান্ত বধূ সুজাতা পাল বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে ঘরে ঢুকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। উনি জামিন পাওয়ায় আমরা আতঙ্কে ভুগছি। আমরা সুবিচার চাই। 


    অভিযুক্ত গোপাল বলেন, আমার কেনা জায়গায় প্রাচীর দিয়েছি। ওরা তা ভেঙে দিয়েছে। প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকে মারধর করে। আমার বাড়িতে এসে হুমকিও দেয়। যে ভিডিও দেখানো হচ্ছে, তা এডিট করা। আমি আত্মরক্ষার জন্য ওদের হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করেছি।বিজেপির কাটোয়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ধৃত নেতা জমির দালালি ও প্রোমোটারির সঙ্গে যুক্ত। কালনায় লাগামছাড়া প্রোমোটারিরাজ চলছে। জায়গা জমির দালালি ও দুর্নীতিতে যুক্ত তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। একসময় খেতে না পাওয়া নেতা-কর্মীদের আজ বিলাসবহুল বাড়ি, হাতে ও গলায় দামী সোনার গয়না। দামি গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের রক্তচক্ষু ও শাসানি ও দাদাগিরি থেকে বাদ যাচ্ছেন না বাড়ির মহিলা, গৃহবধূ থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা। মানুষ এর জবাব দেবে। দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, উনি দলের কোনও পদে নেই। শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদের অনুমতি দেওয়া হয়নি। আইন আইনের পথে চলবে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)