• রঘুনাথগঞ্জে জমি বিবাদে সংঘর্ষ
    বর্তমান | ২৯ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর: জমির পাঁচিল ভাঙা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে শনিবার সন্ধ্যায় রঘুনাথগঞ্জের গিরিয়ায় উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূলের উপপ্রধান দলবল নিয়ে এক ব্যক্তির বাড়িতে চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় জখম ব্যক্তিকে উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আক্রান্তের বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। পাঁচিল ভাঙার প্রতিবাদ করলে তাঁদেরও মারধর করা হয় হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ তুলেছে অপরপক্ষ। তাঁদের জখম দু’জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উভয়পক্ষই একে-অপরের বিরুদ্ধে জঙ্গিপুর পুলিস ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। জঙ্গিপুর ফাঁড়ির এক পুলিস অফিসার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।


    জানা গিয়েছে, রঘুনাথগঞ্জ-২ ব্লকের গিরিয়ায় পাঁচ শতকের একটি জমি উভয়পক্ষ নিজেদের বলে দাবি করে। বছর পাঁচেক আগে গ্রামের বাসিন্দা একবর আলি সেটি তাঁর জমি দাবি করে পাঁচিল তুলে দেন। এনিয়ে জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে মামলাও হয়। সেই মামলা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। আদালতের রায় আসার আগেই জমির তিন শতক তাঁর দাবি করে অপরপক্ষ। শনিবার বিকেলে দলবল নিয়ে পাঁচিল ভেঙে দেয় নুরুল হক ওরফে হোদা। অপর দাবিদার একবর আলি পাঁচিল ভাঙার প্রতিবাদ করলে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে গিরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের কারু শেখ তাঁর দলবল নিয়ে নুরুল হকের বাড়িতে চড়াও হন বলে অভিযোগ। নুরুলকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তিনটি ঘরের আসবাবপত্র ভেঙে দেওয়া হয়েছে। 


    জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের বেডে শুয়ে নুরুল হক বলেন, আমার একটা জমি জোর করে ঘিরে নেয়। আমার অংশ ফিরে পেতে মামলাও করি। আমার জমির অংশ দখল নিতে গেলে উপপ্রধান কারু শেখ লোকজন নিয়ে আমাদের মারধর করে ঘরের জিনিসপত্র ভেঙে দেয়।


    উপপ্রধান বলেন, আমার অসুস্থ ছেলের চিকিৎসার জন্য রঘুনাথগঞ্জে গিয়েছিলাম। এবিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এক ব্যক্তির পাঁচিল ভাঙতে গেলে গ্রামের লোকজনই বিরোধিতা করেন। সাধারণ মানুষের উপর অন্যায় করায় জনরোষের শিকার হয়েছেন বলে শুনেছি।


    একবর আলি বলেন, এটা আমার জমি। বিগত পাঁচ বছর আগে আমি পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দিয়েছি। এখন ওরা বলছে, ওদের জমি। জোর করে পাঁচিল ভেঙে দেয়। পুলিস অপরাধীর সাজা দিক। গিরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জুলমত খাতুন বলেন, জমি নিয়ে গ্রামের দু’পক্ষের বিবাদ। তৃণমূলের বদনাম করতে উপপ্রধানের নাম জড়ানো হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)