সংবাদদাতা, পতিরাম: প্রেমিককে টাকা দিয়েছিলেন বধূ। কিন্তু পরে জানতে পারেন তাঁর স্ত্রী রয়েছেন। তাই আর সম্পর্ক রাখতে রাজি হননি সেই বধূ। শনিবার সন্ধ্যায় প্রেমিকের কাছে টাকা ফেরত নিতে গিয়ে বেধড়ক মার খেয়েছেন তিনি। লাঠি দিয়ে প্রেমিক ও তাঁর স্ত্রীর মারে রক্তাক্ত বধূ প্রাথমিক চিকিৎসার পর বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিস সূত্রে খবর,বালুরঘাটের সিরোহী গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে ফোনে আলাপ হয় বালুরঘাটের শিবতলি এলাকার ওই বধূর। তাঁর স্বামী গ্রামে থাকলেও দীর্ঘদিন তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক নেই। বালুরঘাট শহরে বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন বধূটি। সেখানে গিয়ে মাঝেমধ্যে থাকতেন অভিযুক্ত যুবক। প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর বছরখানেকের মধ্যে বধূর কাছে ধাপে ধাপে সবমিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন ওই যুবক। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। তবে সম্প্রতি বধূ জানতে পারেন ওই যুবকের স্ত্রী রয়েছে গ্রামের বাড়িতে। যা নিয়ে সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। বধূ তখন আর প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাননি। তাঁকে কিছুটা এড়িয়ে চলছিলেন। বধূর অভিযোগ, দূরত্ব বাড়ানোর পর থেকেই রাস্তাঘাটে তাঁকে হেনস্তা করত যুবক। টাকা চেয়ে না পাওয়ায় প্রেমিক বেশ কয়েকবার ভয় দেখান বলে অভিযোগ। লোকলজ্জার ভয়ে অবশ্য বধূ মাঝেমধ্যে টাকা দিয়ে দিতেন। ব্ল্যাকমেল করে যুবক আরও ১৫ হাজার টাকা নিয়েছে বলে দাবি বধূর। এর কিছুদিন পর বধূ টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য পাল্টা চাপ দিতে শুরু করেন। টাকা দেওয়ার কথা বলে বধূকে বাড়িতে ডেকে পাঠান ওই যুবক। সেইমতো শনিবার সন্ধ্যায় বধূ যেতেই যুবক এবং তাঁর স্ত্রী মিলে গাছের ডাল দিয়ে ব্যাপক মারধর করে। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। রক্তাক্ত অবস্থায় বধূকে চিকিত্সার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
আক্রান্ত বধূ বলেন, আমি কয়েকজনের বাড়িতে আয়ার কাজ করে যা পাই, সেই টাকায় সংসার চলে। কয়েকবারে প্রায় ৭০ হাজার টাকা নিয়েছিল আমার কাছ থেকে। পাওনা টাকা দেওয়ার নাম করে বাড়িতে ডেকে স্বামী, স্ত্রী মিলে লাঠি দিয়ে খুব মেরেছে। আমার চোখে, মুখে লেগেছে। পায়ে এমন আঘাত লেগেছে যে হাঁটতে পারছি না। আমার শ্লীলতাহানিও করেছেন ওই যুবক। থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।
ঘটনার পর খোঁজ মিলছে না অভিযুক্তদের। বালুরঘাট সদর ডিএসপি বিক্রম প্রসাদ বলেন, বিষয়টি খতিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।