সংবাদদাতা, কালিয়াচক: ছয়দিন ধরে নিখোঁজ আবাসিকে থাকা অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র। ঘটনাটি কালিয়াচক থানা এলাকার গোলাপগঞ্জের। নিখোঁজ ছাত্রের বাড়ি কালিয়াচক থানা এলাকার সাহাবাজপুরের বালুফারা গ্রামে। নিখোঁজ ছাত্র গোলাপগঞ্জের একটি বেসরকারি আবাসিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। গোলাপগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রে মিসিং ডায়েরি করেছে পরিবার।
নিখোঁজ ছাত্রের বাবা জিতেন মণ্ডল বলেন, একবছর ধরে ছেলে ওই হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করত। পড়াশোনায় যথেষ্ট মেধাবী সে। গত রবিবার স্কুলের ফোন থেকে ছেলের সঙ্গে কথা হয়। কিন্তু সোমবার দুপুরে হঠাৎ স্কুল থেকে ফোন আসে ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা তড়িঘড়ি হস্টেলে যাই।
নিখোঁজ ছাত্রের বাবার দাবি, স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, ছেলে বাইরে বিস্কুট কিনতে গিয়েছিল। কিন্তু তারপর সে আর স্কুলে ফেরেনি। ছেলের খোঁজে সেখান থেকে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি যাই। ফোনে অনেকের কাছে খবর নিই। কিন্তু ছেলের কোনও খোঁজ মিলছে না।
রাতেই গোলাপগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে নিখোঁজের বাবা মিসিং ডায়েরি করেন।
নিখোঁজ ছাত্রের বাবা জিতেনের প্রশ্ন, স্কুলটি আবাসিক হওয়া সত্ত্বেও সেখান থেকে কী করে ছাত্রকে একা বাইরে যেতে দেওয়া হল? স্কুলের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের সাফাই, স্কুলের সামনেই দোকানটি রয়েছে। তাই ছাত্রটিকে যেতে দেওয়া হয়েছিল। বিস্কুট কিনে ছাত্রটি না ফেরায় তারাও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে। না পেয়ে দ্রুত ছাত্রের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে সেলিম শেখ জানিয়েছেন, অনেক ছাত্রই এভাবে ফাঁকি দিয়ে বাইরে যায়। স্কুলের মধ্যে সবাই সবসময় নজরদারিতে থাকে। বাইরে বেরলে নজর রাখা সম্ভব হয় না। নজর এড়িয়ে অনেকে বাড়িও পালিয়ে যায়। এই অবস্থায় আমরা অনেকবার অভিভাবকদের সচেতন করেছি। কিন্তু ছেলেটির নিখোঁজ হওয়া সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। আমরাও সন্ধান চালাচ্ছি। অভিযোগ পেয়ে ছাত্রটির খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। তবে কী কারণে ছেলেটি হস্টেল চত্বর থেকে বেরিয়ে গেল, বেরিয়ে গেলই বা কোথায়, তা নিয়ে ধন্দে পুলিস ও স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে গোলাপগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই ছাত্রটির খোঁজ শুরু হয়েছে। আশা করছি, শীঘ্রই ছাত্রটিকে খুঁজে পাওয়া যাবে।