এই সময়, ঝাড়গ্রাম: জঙ্গলমহলে পর্যটক টানতে ঝাড়গ্রামে তৈরি করা হবে টাইগার সাফারি। রবিবার বৈঠকে এমন পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে বন দপ্তর সূত্রে খবর। এ দিন ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে ইন্ডোর বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, ওয়েস্টবেঙ্গল জ়ু অথরিটির সদস্য সচিব সৌরভ চৌধুরী, মুখ্য বনপাল (পশ্চিম চক্র) বিজয়কুমার সালিমঠ, ঝাড়গ্রামের ডিএফও উমর ইমাম, পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের মেদিনীপুর ডিভিশনাল ম্যানেজার পঙ্কজ সূর্যবংশী।১৯৮০ সালে ঝাড়গ্রাম শহরের উপকন্ঠে মিনি জু অর্থাৎ ডিয়ার পার্ক গড়ে তোলা হয়। রাজ্যে পালাদবলের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিনি জু-র নাম বদল করে 'জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্ক' নাম দেন। প্রায় ৩৩ একর জমির ওপর এই পার্কের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়। আনা হয় চিতাবাঘ। পার্কের মধ্যে নিরিবিলি জঙ্গলের পরিবেশ থাকায় স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেই সন্তানের জন্ম দেয় এখানকার আবাসিক পশুপাখিরা। যা অন্য পার্কে সচরাচর দেখা যায় না।
গত বছর সেন্ট্রাল জু অথরিটির বিচারে সারা দেশের মধ্যে সেরা চিড়িয়াখানা হিসেবে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছিল 'জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্ক'। এ বার তাকে নতুন করে ঢেলে সাজার উদ্যোগ নিয়েছে বন দপ্তর। বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার এবং বেশ কিছু বড় সাপের এনক্লোজার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ দিন জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে একটি ফিশিং ক্যাটকে দত্তক নেন বনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে নানা পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যার ফলে পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে ঝাড়গ্রামে। আমি এ দিন একটি ফিশিং ক্যাট দত্তক নিয়েছি।' এই বৈঠকের পর বনমন্ত্রী এবং দপ্তরের কর্তারা শালবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের আমলাচটি ভেষজ উদ্যানটিও পরিদর্শন করেন। সেখানের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ও ইকো টুরিজ্যম নিয়েও আলোচনা হয়।