• নকল সোনার গয়না বন্ধক রেখে প্রতারণার অভিযোগ, ধৃত বিজেপি কর্মী
    এই সময় | ২৯ জুলাই ২০২৪
  • নকল সোনা বন্ধক রেখে প্রতারণার অভিযোগ উঠল সরকারি দফতরের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির কাঁটামারি বাজার এলাকার ঘটনা। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত ওই ব্যক্তির নাম কার্তিক দাস। বাড়ি কুলতলিরই সানকিজাহান কলোনি এলাকায়। ওই ব্যক্তি সেচ দফতরের কর্মী বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবেও পরিচিত কার্তিক।জানা গিয়েছে, কার্তিক দাস বেশ কিছুদিন ধরে একাধিকবার কাঁটামারি বাজারের একটি দোকানে নকল সোনার গয়না বন্ধক রেখে টাকা নেয় বলে অভিযোগ। আরও দুই মহিলাকে দিয়েও গয়না বন্দক রাখায় সে। এই বিষয়ে কাঁটামারি বাজারের স্বর্ণব্যবসায়ী নিতাই মণ্ডল জানান, গত কয়েকদিনে বেশকয়েকবার বিভিন্ন গয়না বন্ধক রেখে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা নিয়েছে কার্তিক। ওই ব্যবসায়ী কার্তিককে চিনতেন। সেই সূত্রেই গয়না বন্ধক রেখে টাকা দিয়ে দেন তিনি। তাছাড়া দু'বার দুই মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে এসেও গয়না বন্ধক রাখায় কার্তিক। মহিলারা সাংসারিক সমস্যার কথা বলে গয়না বন্ধক দিতে চাওয়ায় প্রাথমিকভাবে সন্দেহ হয়নি। কিন্তু বারবার গয়না বন্ধক রাখার ঘটনায় সন্দেহ হয় তাঁর। তারপরেই ওই গয়না পরীক্ষা করে তিনি দেখেন, দেখতে অবিকল সোনার মতো হলেও, সেগুলি আসলে সোনা নয়।

    এরপরই রবিবার সকালে কার্তিককে ডেকে পাঠান তিনি। জিজ্ঞাসাবাদে কার্তিক জানায়, মৈপিঠের বাসিন্দা এক ব্যক্তি তাকে ওই গয়না বন্ধক রাখতে বলেছিল। নকল সোনার ব্যাপারে সে কিছু জানে না বলেও দাবি করে কার্তিক। এরপরই পুলিশকে বিষয়টি জানান ব্যবসায়ী নিতাই মণ্ডল। পুলিশ কার্তিককে আটক করে নিয়ে যায়। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই গ্রেফতার হয়েছে কুলতলির পয়তারহাটের সাদ্দাম সর্দার। নকল সোনার মূর্তি দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতরণার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আর সেই ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যেই নকল সোনার গয়না দিয়ে প্রতারণার অভিযোগকে কেন্দ্র করে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। দুই মহিলা সহ মৈপিঠের ওই ব্যক্তিরও খোঁজ চলছে। এমনকী এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে বলে জানান বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস।

    এদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদ সদস্য শ্যামপদ নস্কর বলেন, 'কার্তিক বিজেপি নেতা। বিজেপির এইরকম অনেক নেতাই অনৈতিক কাজে যুক্ত। পুলিশ তদন্ত করে চক্রের মাথাদের খুঁজে বের করুক।' পাশাপাশি বিজেপির জয়নগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উৎপল নস্কর বলেন, 'এলাকায় পানীয় জল সহ নানা অভাব অভিযোগ নিয়ে সাধারণ মানুষের হয়ে ওই ব্যক্তি সরব হয়েছিল। তার ফলেই পরিকল্পনা করে ওকে ফাঁসান হয়েছে। পুলিশ সঠিক তদন্ত করলে আসল সত্যি সামনে আসবে।'
  • Link to this news (এই সময়)