১০ বছর আগে তৈরির পরেও চালু হয়নি ‘স্বাস্থ্যকেন্দ্র’, ক্ষোভ দেগঙ্গায়
বর্তমান | ২৯ জুলাই ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: প্রায় ১০ বছর আগে দেগঙ্গা ১ পঞ্চায়েতের হাসিয়া গ্রামে সরকার তৈরি করেছিল একটি ‘স্বাস্থ্যকেন্দ্র’। কিন্তু এখনও তা চালু হয়নি। এদিকে, জমিদাতা সেই বাড়ি কার্যত ‘দখল’ করে রেখেছেন। এলাকার মানুষের দাবি, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি দ্রুত চালু করা হোক। এতদিনেও কেন তা চালু হল না, তা নিয়ে হতাশ এলাকার মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেগঙ্গা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঁতুলিয়া মৌজার হাসিয়া গ্রামে প্রায় ১০ বছরেরও বেশি আগে তৈরি হয় ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। এজন্য জমিদান করেছিল দাপুটে তৃণমূল নেতা রবিউল ইসলামের পরিবার। ২ শতক জায়গার উপর দু’তলা একটি ভবন তৈরি হয়েছে। সেখানে রয়েছে মোট পাঁচটি কক্ষ। অভিযোগ, সরকারি টাকায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি তৈরি হলেও এখনও তা চালু হয়নি। এদিকে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে বাড়ি তৈরি করেছেন রবিউল ইসলামের ভাই মিরাজুল ইসলাম। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে গিয়ে দেখা গেল, ভিতরে ঘোরাঘুরি করছে একাধিক মুরগি। রয়েছে পায়রাও। শুধু তাই নয়, ভিতরে রয়েছে পোশাক থেকে শুরু করে দৈনন্দিন ব্যবহার করার বিভিন্ন সামগ্রী। বাড়ির জানালাগুলিতে জং ধরেছে। জানালা বা দরজা ভগ্নপ্রায়। কোলাপসিবল গেটে ঝুলছে ব্যাগ।
স্থানীয় বাসিন্দারা অবশ্য এনিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ। তাঁদের স্পষ্ট অভিযোগ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু হয়নি কেন, তা আমাদের জানা নেই। তবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি দখল করে রয়েছেন তৃণমূল নেতা রবিউলের ভাই মিরাজুল। এটি চালু হলে কয়েক হাজার মানুষের উপকার হতো। এখন কেউ অসুস্থ হলে কয়েক কিলোমিটার দূরে বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে যেতে হয়। প্রশাসনের কাছে গ্রামবাসীদের আর্জি, দ্রুত এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু করা হোক।
এনিয়ে মিরাজুল ইসলাম বলেন, এই জমিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে দেওয়া হয়। কিন্তু ভবনের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তা চালু হয়নি। তাছাড়া আমরা জায়গাটা দিয়েছি একজনের চাকরির শর্তে। কিন্তু তাও হয়নি। তাই এখন ওই ঘরে মুরগি ও পায়রা রেখেছি। আমরা ওখানে থাকি না। এর সামনে একটি বড় ঘর হয়েছে, সেখানে আমার পরিবার থাকে। তবে এর বেশি আর কিছু জানি না। তৃণমূল নেতা তথা দেগঙ্গা ১ পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ রবিউল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি জানান, আমি ফোনে কোনও কথা বলব না, ব্যস্ত রয়েছি। এনিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সমুদ্র সেনগুপ্ত বলেন, এই নামে কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কথা আমাদের জানা নেই। অন্য কোনও দপ্তর খরচ করে ভবন তৈরি করলে তাও আমাদের জানা নেই।