• ১২ ঘণ্টার মধ্যেই ডোমজুড়ের জালান কমপ্লেক্সে ডাকাতির কিনারা পুলিসের
    বর্তমান | ২৯ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: শনিবার রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটল ডোমজুড়ের জালান কমপ্লেক্সের ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন গোডাউনে। তবে নগদ টাকা বা অন্যান্য জিনিসে নজর ছিল না ডাকাতদলের। তারা জালান কমপ্লেক্সের একটি ওয়্যারহাউস থেকে নিয়ে গিয়েছে চার টন দস্তা বা জিঙ্ক। তবে ডোমজুড় থানার তৎপরতায় মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই সেই ডাকাতির কিনারা করল পুলিস। 


    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে জালান কমপ্লেক্সের ওই ওয়্যারহাউসে হানা দেয় ১২ জনের একটি ডাকাতদল। একটি পিকআপ ভ্যান সঙ্গে নিয়ে এসেছিল তারা। ডাকাতরা এসেছিল বাইকে চেপে। সেই সময় সেখানে একজন নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। তাঁর হাত, মুখ বেঁধে গোডাউনের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে তারা। এরপর প্রায় ৪ টন জিঙ্ক হাতিয়ে পিকআপ ভ্যানে তুলে চম্পট দেয় ডাকাতরা। প্রমাণ লোপাটের জন্য পালানোর আগে সিসি ক্যামেরা, ডিভিআর (স্টোরেজ) খুলে নিয়ে পালায় তারা। 


    খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যায় ডোমজুড় থানার পুলিস। সমস্ত তথ্য ও প্রমাণ খতিয়ে তদন্ত শুরু করে তারা। নেওয়া হয় গোডাউনের নিরাপত্তারক্ষীর বয়ান। দূরের একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ডাকাত দলের সঙ্গে থাকা পিকআপ ভ্যানটিকে চিহ্নিত করে পুলিস। সেই সূত্র ধরেই ডাকাত দলের সন্ধান পান তদন্তকারীরা। জানা যায়, গাড়ির মালিকের নাম অবিনাশ সিং। মালিপাঁচঘড়ার বাসিন্দা ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, সুব্রত সেন ওরফে ছোটকা নামের একজন তার গাড়িটি ভাড়া নিয়েছিল। তদন্তের দ্বিতীয় ধাপে ছোটকার পাশাপাশি বিশালকুমার সাউ নামে আরও একজনের নাম উঠে আসে। সুব্রতর সঙ্গে ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিল সেও। এছাড়াও বিকাশকুমার জয়সওয়াল এবং রাকেশকুমার সাউ নামে আরও দু’জনের সন্ধান পায় পুলিস। পাশাপাশি ডাকাতির মাল উদ্ধার হয় ঘুসুড়িতে রাকেশের গুদাম থেকে। এরপরেই সুব্রত, বিশাল, বিকাশ এবং রাকেশকে গ্রেপ্তার করে ডোমজুড় থানার পুলিস। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু চলছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, ডাকাতির সময় চালকের আসনে বসেছিল সুব্রত। গাড়িতে জিঙ্ক তুলেছে বিকাশ। রাকেশকে সেগুলিকে বিক্রি করা হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় ছ’জন সরাসরি জড়িত। বাকিরা কারা, তাদের খোঁজ পেতে ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে।


    পুলিসের এক কর্তা এ প্রসঙ্গে বলেন, খবর পেয়েই আমরা দ্রুত তদন্ত শুরু করায় ১২ ঘণ্টার মধ্যে ডাকাতির কিনারা করা সম্ভব হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ডাকাতির জিনিস। বাকি অভিযুক্তদের শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হবে বলে আশাবাদী।
  • Link to this news (বর্তমান)