দিঘার পর বকখালি, 'বিষাক্ত' সামুদ্রিক সাপের দেখা মিলল সৈকতে
এই সময় | ২৯ জুলাই ২০২৪
দিঘার পর এবার বকখালি। সমুদ্র সৈকতে দেখা মিলল বিষাক্ত ইয়েলো বেলিড সাপের। আতঙ্ক তৈরি হয়েছে পর্যটকদের মধ্যে। রবিবার থেকেই সমুদ্র সৈকতে সতর্কতামূলক প্রচার শুরু করেছে প্রশাসন।দিঘার পরে বকখালি সমুদ্র সৈকতে এই প্রথম দেখা মিলল এই বিষাক্ত সাপের। শনিবার দুপুরে বকখালিতে ভরা জোয়ারের সময় দেখা মেলে সাপটির। সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা বকখালির সমুদ্র সৈকতে সাপটিকে ভাসতে দেখেন। ওই সময় সমুদ্রে প্রচুর পর্যটক স্নান করছিলেন। সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে সরিয়ে দেন। এরপরই তাঁরা জীবিত অবস্থায় সাপটিকে উদ্ধার করা হয়।
সাপটিকে ইতিমধ্যে বন দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকেই কাকদ্বীপ মহকুমা প্রশাসন ও ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পক্ষ থেকে পর্যটকদের সতর্ক করার জন্য সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা সমুদ্র সৈকতে মাইকিং শুরু করে। সমুদ্র সৈকতে সাপটি উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, বছর খানেক আগে এই বিষাক্ত সাপের দেখা মিলেছিল দিঘা সমুদ্র সৈকতে। বিষধর প্রজাতির এই সাপ মূলত পশ্চিম উপকূলে দেখা যায়। সর্প বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সাপের কামড়ে কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পক্ষাঘাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই, দিঘা সমুদ্র সৈকতে এই সাপ দেখতে পাওয়ার পর যথেষ্ট আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। সেই আতঙ্ক এবার বকখালিতেও। ইয়েলো বেলিড সাপটি সাধারণত শান্ত প্রকৃতির হয়। তবে এর আগে হাত পড়লে কামড়াতে পারে। এই সাপের অন্যতম বৈশিষ্ট্য এর পেটের কাছটা হলুদ রং-এর। মুখের কাছে পাখির ঠোঁটের মতো হয়।
বকখালিতে কর্মরত সিভিল ডিফেন্স কর্মী অতীন্দ্র মোহন দাস বলেন, ‘ভরা জোয়ারের সময় এখানে প্রচুর পরিমাণে পর্যটক ছিল। সেই সময় একটি সাপ দেখা যায় সৈকতে। কাছে গিয়ে বুঝতে পারি, দিঘা সৈকতে যে সাপটি দেখা গিয়েছিল, এটি সেই ধরণের সাপ। সাপটিকে উদ্ধার করে আমরা বন দফতরের হাতে তুলে দিয়েছি। এর আগে সাপটিকে এখানে কোনওদিন দেখা যায়নি।’ বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার DFO নিশা গোস্বামী বলেন, ‘আমাদের কাছে এই সংক্রান্ত কিছু নিশ্চিত খবর আসেনি। খবর এলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তবে, এখনই সেরকম আতঙ্কের কোনও বিষয় নেই বলেই জানা গিয়েছে বন দফতর সূত্রে।