রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিধানসভায় বিজেপি বক্তার তালিকায় ‘তৃণমূল’ বিধায়কের নাম! প্রতিবাদে ওয়াকআউট করলেন গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা। এই ইস্যুতে অধ্যক্ষের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন তাঁরা। যদিও অধ্যক্ষের দাবি, নিয়ম মেনেই বক্তা তালিকা তৈরি হয়েছে।
আলিপুরদুয়ার থেকে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন সুমন কাঞ্জিলাল। কিন্তু কয়েক মাস আগে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। অভিষেকের বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সেই ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। সোমবার বিধানসভায় রিভার কমিশন নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। সেখানে বিজেপির বক্তা তালিকায় নাম রয়েছে সুমনের। যা দেখে প্রথমে প্রতিবাদ করেন বিজেপি বিধায়করা। পরে তাঁরা অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করেন।
এ প্রসঙ্গে স্পিকার বলেন, “আজ প্রতিবাদ একেবারে অর্থহীন। বুলেটিনেও প্রকাশ হয়েছিল যে সুমন কাঞ্জিলাল বাকিদের সঙ্গে প্রস্তাব পেশ করেছেন । তিনিও অন্যতম প্রস্তাবক এই আলোচনায়।” তাঁর আরও দাবি, নিয়ম মেনেই তৈরি হয়েছে বুলেটিন। পালটা বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষের দাবি, উনি (সুমন কাঞ্জিলাল) কয়েক মাস আগে তৃণমূলে যোগ দেন। ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। তার পরেও আলিপুরদুয়ারের বিধায়কের নামের পাশে বিজেপি লেখা কেন? বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি,”সুমন কাঞ্জিলাল দীর্ঘদিন আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে জয়েন করেছে। এবারের নির্বাচনেও একাধিক জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী এবং ভাইপোর সঙ্গে তাঁকে দেখা গিয়েছে। এর পরও কেন তাকে বিজেপির তালিকায় বক্তা হিসেবে রাখা হল, এর প্রতিবাদ জানিয়েই আমাদের বিধায়করা ওয়াক আউট করেছে।” অধ্যক্ষকে নিশানা করে তাঁর দাবি, “আমার বিরুদ্ধে প্রিভিলেজ হতে পারে জানি কিন্তু তবুও বলব এখানকার অধ্যক্ষ বিধানসভার অধ্যক্ষ না তৃণমূলের অধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করছেন। আমরা তীব্র প্রতিবাদ করছি।”
যদি বিতর্কিত বিধায়ক সুমনের দাবি, “সংকীর্ণ রাজনীতি করল বিজেপি। ডুয়ার্সের, উত্তরের যন্ত্রণার কথা ওরা বুঝল না। মানুষ এর জবাব দেবে।”