ক্যালেন্ডারের পাতায় দিন গোনা চলছে। মা আসতে আর কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। তারপরেই বঙ্গভূমির শ্রেষ্ঠ উৎসবে মেতে উঠবেন সকলেই। উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার কোন পুজোর কী থিম, মণ্ডপ নির্মাণে কেমন চমক, প্রতিমা সজ্জায় নজর কাড়বেন কারা? কানাঘুষো আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। তালিকায় রয়েছে বড়িশা ক্লাবও। প্রতিবারের ন্যায় এবারেও চমক থাকছে দক্ষিণ কলকাতার বিখ্যাত এই দুর্গাপুজোয়।মণ্ডপসজ্জার পাশাপশি অপূর্ব প্রতিমা তৈরির দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয় বড়িশা ক্লাবের পুজোয়। মণ্ডপের পাশাপাশি এবার মায়ের নতুন রূপ দিতে চলেছে বড়িশা ক্লাব। কী সেই চমক? পুরো বিষয়টি এখনই দর্শকদের জন্য উন্মোচন করলেন না উদ্যোক্তারা। তবে তাঁরা জানালেন, থ্রি-ডি থিমের উপর নির্ভর করে এবার তৈরি হচ্ছে বড়িশা ক্লাবের দুর্গাপুজোর প্রতিমা।
বড়িশা ক্লাবের অন্যতম পুজো উদ্যোক্তা তন্ময় চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এবার প্রতিমা তৈরির বিষয়টিতে বিশেষ চমক থাকছে। থ্রি ডি থিমের উপর নির্ভর করে প্রতিমা তৈরি করা হবে। এর থেকে বেশি কিছু এখনই বলা যাচ্ছে না।’ প্রতিমার পাশাপশি মণ্ডপ সজ্জাতেও অভিনবত্ব আনা হবে।
এবার বড়িশা ক্লাবের পুজোর থিম হচ্ছে ‘রুদ্রাণী’। স্বাভাবিকভাবেই, থিমের নাম দেখেই বোঝা যাচ্ছে মায়ের রুদ্র রূপ তুলে ধরে হবে এবার। নারী শক্তির যে রুদ্র রূপ, সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই এবার প্রতিমা থেকে মণ্ডপসজ্জা পুরো বিষয়টি সাজানো হয়েছে। এবার শিল্পী অনিমেষ দাসের পরিকল্পনায় তৈরি হচ্ছে থিম। প্রতিমা নির্মাণ করবেন শিল্পী সৌমেন পাল। এবার ৭৬তম পুজোর আয়োজন করবে বড়িশা ক্লাব।
প্রতি বছরই নিত্য নতুন ভাবনায় সাজিয়ে তোলা হয় বড়িশা ক্লাবের পুজোর মণ্ডপ। ইতিমধ্যে খুঁটি পুজো সম্পন্ন হয়েছে। আজ, সোমবার থেকেই বড়িশা ক্লাবের পুজোর মণ্ডপ নির্মাণের কাজ শুরু হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে পুজো কমিটি সূত্রে। ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা বাজেট ধরা হয়েছে এবারের পুজোয়। অন্যান্য বারের ন্যায় এবারেও বড়িশা ক্লাব সর্বজনীন দুর্গোৎসব দর্শনার্থীদের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নেবে বলেই মনে করছেন উদ্যোক্তারা। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে বড়িশা ক্লাবের প্রতিমা মন্ত্রমুগ্ধ করেছিল সকলকে। সরকারি তত্ত্বাবধানে সংরক্ষণ করা হয় পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের বধূরূপে তৈরি বড়িশা ক্লাবের দুর্গা প্রতিমাকে। এবারেও বিশাল চমকের অপেক্ষায় শহরবাসী।