স্যার, ভোলা’র হাত থেকে বাঁচান, গ্রামবাসীদের আবেদন মন্ত্রীকে ...
আজকাল | ৩০ জুলাই ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ‘যমালয়ে জীবন্ত মানুষ’ সিনেমাটা যারা দেখেছেন তাঁরা সকলেই ‘ভোলা’র সঙ্গে পরিচিত। সিদ্ধেশ্বর ওরফে সিধু’র পোষা একটি ষাঁড়। যার সঙ্গে যমপুরীতে দেখা হয়েছিল ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় বা সিধু’র। তাঁর আদেশে যমরাজ, চিত্রগুপ্ত–সহ সকলকে গুঁতিয়ে যমপুরীর বাইরে বের করে দেয় ভোলা। এককথায় যমরাজকে নাকানি চোবানি খাইয়েছিল এই ষাঁড়।
ঠিক এরকমই একটি ষাঁড়ের দাপটে নাজেহাল পূর্ব বর্ধমানের ভাতার ব্লকের মাহাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১ নম্বর কলোনি। মালিকানাহীন এই কালো–সাদা রঙের ষাঁড়ের তাণ্ডবে অস্থির হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসীরা। তাকে প্রথমে লোকে ভক্তিভরে ‘ভোলেবাবা’ বলে ডাকলেও অচিরেই ভক্তি বদলে গিয়ে ভয় ধরেছে।
ভোলার শিংয়ের শিকার গ্রামের একাধিক বাসিন্দা। প্রাণ গিয়েছে গবাদি পশুরও। বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন গ্রামবাসীরা।
এই ক্রোধী ষাঁড়ের থেকে বাঁচতে স্থানীয় বিডিও, অতিরিক্ত মহকুমাশাসক ছাড়াও গ্রামবাসীরা আবেদন করেছেন রাজ্যের প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের কাছেও। এমনটাই জানিয়েছেন তাঁরা।
ভাতারের বিডিও দেবজিৎ দত্ত বলেন, খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে মাহাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পাঁচু বৈদ্য জানিয়েছেন, বন দপ্তরের কাছেও খবর পাঠানো হয়েছে।
যতদিন না পর্যন্ত ভোলাকে বন্দি করা যাচ্ছে ততদিন আতঙ্কই সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন গ্রামবাসীরা।