• নামেই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হয় না প্রাথমিক চিকিৎসা! রোগী দেখেন গ্রুপ ডি কর্মীরাই? ...
    আজকাল | ৩০ জুলাই ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক। নেই প্রয়োজনীয় ওষুধ। জানালার কাঁচ প্রায় সবই ভাঙা। হাসপাতালের বাইরের অবস্থা আরও খারাপ। আচমকা ঢুকলে বোঝা যাবে জায়গাটা সুন্দরবন থেকে খুব একটা দূরে নয়। জঙ্গল কিছু কিছু জায়গায় এতটাই উঁচু যে ওপাশে কে দাঁড়িয়ে আছে তা ঠাহর করা যায় না। অভিযোগ, হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা করেন গ্রুপ ডি কর্মচারীরাই। এতটাই বেহাল দশা উত্তর ২৪ পরগণার হাড়োয়ার ব্রাক্ষণচক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের। স্থানীয়দের অভিযোগ, নামেই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। মাথা ফাটলে বা কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে এখানে কোনও চিকিৎসা পাওয়া যায় না। ছুটতে হয় অন্য কোথাও। দুপুর ১টা বা মেরেকেটে ২টৌ। এরপর আর পরিষেবা পাওয়া যায় না।

     

    অভিযোগ, এই হাসপাতালে চিকিৎসক এসে বসেন কাঁচের ঘরের ভেতর। বাইরে অপেক্ষারত রোগীদের সমস্যা ভেতর থেকে শুনে তিনি ছোট একটি জানালা দিয়ে প্রেসক্রিপশন লিখে রোগীর হাতে দেন। যদিও ওষুধ বলতে শুধু জ্বর এবং সর্দির। এর বাইরে কিছু পাওয়া যায় না বলেই অভিযোগ রোগীদের। স্থানীয় বাসিন্দা অনিল মণ্ডল বলেন, 'দুপুর দু'টোর পর আর কোনও পরিষেবা পাওয়া যায় না। সপ্তাহে মাত্র তিনদিন চিকিৎসক আসেন। একজন অ্যালোপ্যাথিক এবং একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক।' 

    অভিযোগ প্রসঙ্গে স্থানীয় সোনাপুর-শঙ্করপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মল্লিকা মণ্ডল জানিয়েছেন, তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। সমালোচনায় মুখর হয়েছে রাজ্যে চিকিৎসকদের সংগঠন মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টার। সংগঠনের সম্পাদক ডা. অংশুমান মিত্র বলেন, 'রাজ্য-সহ গোটা দেশেই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি ধংসের মুখে দাঁড়িয়ে। যেটা ইচ্ছা করেই করা হচ্ছে। আসলে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার জন্যই তলায় তলায় এটা একটা সরকারি প্রচেষ্টা।' 

    অভিযোগ অস্বীকার করে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল-এর সভাপতি ও শ্রীরামপুর বিধানসভার বিধায়ক ডা. সুদীপ্ত রায় বলেন, 'একেবারেই বাজে অভিযোগ। আমাদের সরকারের লক্ষ্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই রোগী ভর্তি করে তাঁর চিকিৎসা করা। যাতে কলকাতার হাসপাতালের ওপর চাপ কম হয়। ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি নিয়ে যদি আমাদের কাছে অভিযোগ আসে তবে অবশ্যই দেখা হবে।'
  • Link to this news (আজকাল)