• ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কাজ এগোচ্ছে’‌, লোকসভা কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে দাবি দেবের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ জুলাই ২০২৪
  • আজ, সোমবার বিধানসভা অধিবেশনে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের প্রসঙ্গ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মুড়িগঙ্গা নদীর উপর সেতু তৈরির প্রতিশ্রুতিও দেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে উত্তরবঙ্গে উন্নয়নেরও কথা তুলেছেন। এগুলি করতে খতিয়ান তুলে দেখান কত টাকা খরচ হয়েছে রাজ্য সরকারের। এই তথ্য যখন মুখ্যমন্ত্রী জানান তখন উল্টোদিকে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটে কোনও বাড়তি অর্থ বরাদ্দ করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। গোটা প্রকল্পে সমস্ত অর্থই রাজ্য বরাদ্দ করবে বলে আগেই তা জানানো হয়েছিল। এবার প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে মুখ খুললেন ঘাটালের সাংসদ দেব।

    এদিকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে সাংসদ দীপক অধিকারীকে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী ৩১ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যেই ১৫০০ কোটি টাকায় ওই প্রকল্পের কাজ রাজ্য সরকার শুরু করে দেবে। আর ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী আজ, সোমবার দাসপুরে দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। তার পরে প্রশাসনিক বৈঠক করতে আসেন ঘাটালের মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে। সেখানেই সাংবাদিকদের দেব বলেন, ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কাজ এগোচ্ছে। জমি মাপার কাজ শেষ। এবার জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হবে এখানে।’‌


    অন্যদিকে শিলাবতী, ঝুমি এবং কংসাবতী নদীর জল বাড়লে ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় বানভাসী পরিস্থিতি তৈরি হয়। জল–যন্ত্রণায় পড়তে হয় প্রত্যেক বছরই। দুই মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় তার প্রভাব পড়ে। বারবার কেন্দ্রীয় সরকারকে বলে কোনও লাভ হয়নি। তাই রাজ্য সরকারই ঠিক করেছে এই প্রকল্প নিজেদের হাতে নিয়ে মানুষকে এমন যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি দেবে। আজ ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে জেতার পর আজ পাঁশকুড়ার তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বেক সঙ্গে বৈঠক করেন দেব। সেখানে ঠিক হয় কেমন করে উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

    এছাড়া ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে রাজ্য সরকার অত্যন্ত উদ্যোগী সেটা ভরা বিধানসভায় জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‌ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান আমরা হাতে নেব। ডিপিআর হয়ে গিয়েছে। মুড়িগঙ্গার নদীর এক হাজার কোটি টাকা খরচ করে সেতু তৈরি করা হবে। এই সেতুর মাধ্যমে মানুষ গঙ্গাসাগরে পৌঁছতে পারবেন। এনডিআরএফ টিমের সঙ্গে আমরা চুক্তি করেছি। তার জন্য টাকা দিতে হয়।’‌ আর দলীয় বিরোধ ভুলে নেতৃত্বকে একসঙ্গে কাজ করার ডাক দেন সাংসদ দেব।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)