করিমপুরে স্কুলের খেলার মাঠটি অযত্নে আগাছায় ভরে, দীর্ঘদিন বন্ধ খেলাধুলো
বর্তমান | ৩০ জুলাই ২০২৪
সংবাদদাতা, করিমপুর: করিমপুর জগন্নাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ আগাছায় ভরে গিয়েছে। সেখানে দীর্ঘদিন বন্ধ খেলাধুলো। অবহেলায় পড়ে থাকা মাঠটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে এই মাঠটি করিমপুর জগন্নাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের। করিমপুর শহরের স্কুলের এই মাঠটি বহু পুরনো। খেলার মাঠের বয়স প্রায় ৭৪ বছর। একসময় খেলাধুলোর পাশাপাশি এই মাঠে নাটক, যাত্রা, সার্কাস কিংবা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সভা সমাবেশ হতো। কিন্তু গত প্রায় দশ বছর ধরে স্কুলের এই খেলার মাঠটি অবহেলায় পড়ে রয়েছে। মাঠজুড়ে রয়েছে বড় বড় গর্ত ও আবর্জনা। কখনও আবার আশপাশের বাসিন্দাদের রাখা ইট-পাথরে ঢেকে যায় মাঠের সবুজ ঘাস।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এলাকার বাসিন্দা ও ছেলেমেয়েদের স্বার্থে খুব শীঘ্র মাঠটি সংস্কার করা হোক। করিমপুরের এক ক্রীড়াপ্রেমী প্রবীর সাহা বলেন, ১৯৪৯ সালে করিমপুর ক্লাবের সদস্যদের উদ্যোগে এলাকার সহৃদয় মানুষের দান করা প্রায় সাড়ে সাত বিঘা জমিতে এই খেলার মাঠ তৈরি করা হয়েছিল। সেই সময় এলাকায় কোনও স্কুলের অনুমোদন পেতে গেলে সেই স্কুলের নিজস্ব খেলার মাঠের প্রয়োজন ছিল। সেই কারণেই ১৯৫১ সালে করিমপুরের জগন্নাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের সরকারি অনুমোদনের জন্য খেলার মাঠটি স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মাঠটির যত্ন না নেওয়ায় খেলাধুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ খেলার মাঠটির দিকে নজর দেওয়া উচিত বলে দাবি স্থানীয় মানুষের।
করিমপুর আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি সুজিত বিশ্বাস বলেন, ওই মাঠটিতে একসময় প্রচুর খেলা হতো। সকালে বয়স্করা প্রাতর্ভ্রমণ এবং বিকেলে খুদেরা খেলাধুলো অনুশীলন করত। এখন সামগ্রিক উদাসীনতায় খেলার মাঠ অবহেলায় পড়ে রয়েছে। মাঠের মাঝে বিভিন্ন জায়গায় গর্ত রয়েছে। এমনকী আবর্জনা, আগাছা জমে থাকে। এছাড়াও আশপাশের বাড়ি নির্মাণ কাজের জন্য এই মাঠে ইট, বালি, পাথর রাখা থাকে। খেলাধুলো করা তো দূরের কথা, হাঁটাচলা করতে গেলে পা মচকানোর ভয় হয়। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মাঠের জমি চারিদিকে জবরদখল হয়ে যাচ্ছিল। সেই কারণে মাঠের প্রাচীর দেওয়া হয়েছে। স্কুলের পরিচালন সমিতির সদস্য ও কয়েকজন শিক্ষককে নিয়ে খেলার মাঠটি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রথমে খেলার মাঠের প্রবেশদ্বারে একটি গেট তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে। তারপর মাঠটি পরিষ্কার করে খেলার উপযোগী করে তোলা হবে।