এখনও জল ছাড়ার পরিস্থিতি নেই ম্যাসাঞ্জোরে, ভারী বৃষ্টির অপেক্ষা
বর্তমান | ৩০ জুলাই ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: ঝাড়খণ্ডের ম্যাসাঞ্জোর ড্যামের জলস্তর এখনও স্বাভাবিকের থেকে ৫-৭ ফুট নীচে। ফলে এখনই ড্যাম থেকে জল ছাড়ার কোনও প্রশ্ন নেই। ঝাড়খণ্ডে ভারী বৃষ্টি হলে তবেই ড্যামে জল জমবে। কিন্তু এখনও বৃষ্টির সেভাবে না হওয়ায় চিন্তা বাড়ছে চাষিদের। তবে প্রতি সপ্তাহে জল ছাড়ার বিষয় নিয়ে সেচদপ্তর রিভিউ বৈঠক করছে বলেও জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ময়ূরাক্ষী সেচ ক্যানেলের জলে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ করা সম্ভব। কোপাই সাউথ ক্যানেল, ময়ূরাক্ষী-দ্বারকা ব্রাঞ্চ ক্যানেল, মহম্মদবাজারের ময়ূরাক্ষী ক্যানেল ইত্যাদির মাধ্যমে জেলার অনেকগুলি ব্লকের চাষিরা সেচের জল পেয়ে থাকেন। মূলত ময়ূরাক্ষী নদীর মাঝে ঝাড়খণ্ডের ম্যাসাঞ্জোর জলাধার থেকে জলের জোগান মেলে। তা এসে সিউড়ির তিলপাড়া ব্যারেজের কাছে জমা হয়। সেখান থেকে বিভিন্ন ক্যানেলের মাধ্যমে বিভিন্ন দিকে চলে যায়। শেষ কয়েক সপ্তাহ ধরে বর্ষাকাল শুরু হলেও সেই অর্থে ভারী বৃষ্টি হয়নি ঝাড়খণ্ডে। ফলে ওই অংশের জল ম্যাসেঞ্জার ড্যামে এসে পড়েনি। এখন জলস্তর ৩৬৫-৩৬৮ ফুটের মধ্যেই রয়েছে। আরও ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতা বাড়লে তবেই জল ছাড়া সম্ভব। না হলে এই অবস্থায় জল ছাড়লে চাষিদের কোনও লাভ হবে না। ফলে, জল পেতে গেলে ভারী বর্ষার জন্যই অপেক্ষা করতে হবে। নচেৎ বৃষ্টির জলই ভরসা। গত বোরো চাষের জন্য যেমন আগেভাগেই সেচদপ্তর জানিয়ে দিয়েছিল, বীরভূমের ৬টি ব্লকের চাষিরা এবার জল পাবেন। ফেব্রুয়ারি মাসে সেই জল পান চাষিরা। কিন্তু বর্ষা দেরি করে আসায় এখনই আগাম কিছু ঘোষণা করতে পারছে না সেচবিভাগ। জেলা সেচদপ্তরের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সমর সরকার বলেন, এখনও ম্যাসেঞ্জোরের জলস্তর অনেকটাই কম। তাই এখনই জল ছাড়ার প্রশ্ন নেই। প্রতি সপ্তাহে মনিটরিং কমিটি রিভিউ বৈঠক করছে। সেইমতো চাষিদের আপডেট দেওয়া হচ্ছে। বৃষ্টির জলেই আপাতত ভরসা রেখে চাষ করতে হবে চাষিদের। জেলা পরিষদের সেচ ও কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম খান বলেন, এটা তো সম্পূর্ণ প্রকৃতি নির্ভর বিষয়। আমাদের হাতে কিছু নেই। চাষিরা বিষয়গুলি সব বোঝেন। আমরা তবুও চেষ্টা করছি।
অন্যদিকে, কৃষিদপ্তর থেকে জানা গিয়েছে, বৃষ্টির জলে প্রায় সব চাষিই বীজতলার কাজ সম্পূর্ণ করে দিয়েছেন। কোথাও আবার ধান লাগানোও হয়ে গিয়েছে। আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহের আগেই ধান লাগানো প্রায় সম্পূর্ণ শেষ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।