সংবাদদাতা, ডোমকল: সব্জির দর নিয়ন্ত্রণে জেলা সদরের বাজারগুলিতে নজরদারিই সার। মফস্সলের সব্জি বাজারগুলিতে এখনও দেখাই মিলছে না টাস্ক ফোর্সের। সব্জির দর অস্বাভাবিক হারে বাড়লেও নেই প্রশাসনিক নজরদারি। সেই সুযোগে রমরমা বেড়েছে ফড়েদের। তাদের দাপটে সব্জির দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা। সব্জির দর নিয়ন্ত্রণে দ্রুত টাস্ক ফোর্সের অভিযান সহ নজরদারির দাবিতে সরব হলেন ডোমকল মহাকুমাবাসী।
প্রসঙ্গত, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই জেলা শহরগুলিতে অভিযানে নামেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তার জেরে শহরের বাজারগুলিতে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসে সব্জির দাম। কিন্তু যখন শহরগুলিতে ঘনঘন অভিযানের কারণে দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসছে সেই সময়ে নজরদারির অভাবে ডোমকল মহকুমার বিভিন্ন বাজারগুলিতে চড়চড়িয়ে বাড়ছে শাকসব্জির দাম। প্রশাসনিক নজরদারি না থাকার সুযোগে এক শ্রেণির সব্জি বিক্রেতা ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে রাখছেন। তার ফল ভুগতে হচ্ছে মফস্সলের মধ্যবিত্তদের।
শুক্রবার বিকেলে ইসলামপুরের হাটে আলুর দাম ছিল প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। পেঁয়াজ ৪৫ টাকা, লঙ্কা ১৫০ টাকা, আদা ২২০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা কেজি। বেগুনের দাম প্রতি কেজি ৩০ টাকা। পটলের দাম খানিকটা সাধ্যের মধ্যে হলেও ফড়েদের দাপটে কার্যত দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। প্রতি কেজি পটল খুচরো বাজারে ১৫ থেকে ২০ টাকা। অথচ সেই পটল কৃষকদের কাছে থেকে ৬ টাকা কেজি দরে কিনে বিক্রি করছেন তারা। ফড়েদের ওপরে প্রশাসনের নজরদারি না থাকার কারণেই এই দাম বাড়ছে।
জলঙ্গির টোটো চালক কেতাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, এখন বাজারে যা দাম, তাতে সব্জি কিনতে যেতেই ভয় হচ্ছে। অনেক ভাবনাচিন্তা করে সব্জি কিনতে হচ্ছে। অথচ দাম নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের নজরদারি নেই। শহরের মানুষদের জন্য এত কড়া ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে প্রশাসনকে অথচ আমাদের জন্য কোনও পদক্ষেপ নেই। এভাবে চলতে পারে না। দ্রুত দাম নিয়ন্ত্রণে কড়া ভূমিকায় নামুক প্রশাসন।
রানিনগরের গৃহবধু সামিমা খাতুন বলেন, সব্জির যা দাম, খুব বুঝে শুনে রান্না করতে হচ্ছে। এভাবে চলতে লাগলে আমাদের মতো মধ্যবিত্তের ভীষণ সমস্যা। ইসলামপুরের সব্জি ব্যবসায়ী লুৎফর শেখ বলেন, আমরা কৃষকদের থেকে সরাসরি সব্জি কিনতে পারি না। মাঝে কয়েক ধাপে আমাদের কাছে সব্জি পৌঁছয়। আমাদেরও চড়া দামে সব্জি কিনতে হচ্ছে। আমাদেরও খুব একটা লাভ থাকছে না। নিজস্ব চিত্র