• শ্রাবণের দ্বিতীয় সোমবার শিবের মাথায় জল ঢালতে বিভিন্ন মন্দিরে ভক্তের ঢল
    বর্তমান | ৩০ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বহরমপুর: শ্রাবণ মাসের দ্বিতীয় সোমবারও বহরমপুরের বিভিন্ন মন্দিরে শিবের মাথায় জল ঢালতে ভক্তের ঢল নামল। বহরমপুরে বাণেশ্বর শিব মন্দিরের ৩০১ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে রুদ্র অভিষেক ও যজ্ঞ হয়। অন্যদিকে কাশিমবাজার ব্যাসপুর শিবমন্দিরে শিবের মাথায় জল ঢালতে রবিবার রাত থেকেই ভক্তরা লাইন দিতে শুরু করেছিলেন। সোমবার সকাল থেকে ভক্তরা লাইন দিয়ে শিবের মাথায় দুধ, গঙ্গাজল ঢালেন। 


    গঙ্গায় ভেসে আসা কাঠের শিব মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে বাণেশ্বরের পুজো শুরু হয় আজ থেকে ৩০০ বছর আগে। রবিবার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে ১০৮ মঙ্গল কলস ভরে পুণ্যস্নান করানো হয়। এদিন রুদ্র অভিষেক করে পুজোপাঠ থেকে হোমযজ্ঞ চলে। মন্দির কমিটির সদস্য উৎপল দাস বলেন, এবার তিনদিনের বিশেষ পুজোপাঠের আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার তিন হাজারের বেশি ভক্তকে প্রসাদ বিতরণ করা হবে। অন্যদিকে ৬০০ বছরের বেশি প্রাচীন ব্যাসপুর শিব মন্দিরে জল ঢালতে রবিবার রাত থেকে পুণ্যার্থীরা লাইন দিয়েছিলেন। এদিন ভোর থেকে জল ঢালা শুরু হয়। সারাদিন চলে পুজোপাঠ। রাতে ভক্তদের ভোগপ্রসাদ বিতরণ করা হয়। মন্দির কমিটির দাবি, শ্রাবণ মাসের প্রতি সোমবার মন্দিরে অগণিত ভক্ত সমাগম হয়। তবে শ্রাবণের শেষ সোমবার উপচে পড়া ভক্তের ঢল সামাল দিতে উদ্যোক্তাদের হিমশিম খেতে হবে।


    ১৮১১ সালে শুরু হয়ে ১৮১৮ সালে সম্পন্ন হয় কাশিমবাজার ব্যাসপুর শিব মন্দির। টেরাকোটার আদলে তৈরি শিবমন্দিরের পাশ দিয়ে একসময় ভাগীরথী নদী বয়ে যেত। পরে ভাগীরথী নদীর গতিপথ পরিবর্তন হলেও ব্যাসপুর শিব মন্দিরের আকর্ষণ ঐতিহ্য কমেনি। জেলা ও জেলার বাইরে থেকে বহু ভক্ত প্রতিদিন এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। এছাড়া শিব চর্তুদর্শীতে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়। ভক্তরা বহরমপুরের বিভিন্ন ঘাট থেকে গঙ্গা জল সংগ্রহ করে হেঁটে মন্দিরে আসেন। রাতে ভক্তদের মন্দির চত্বরে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে মন্দির কমিটি। শিব মন্দির প্রাঙ্গণে মেলাও বসে। মন্দির কমিটির সম্পাদক শিবম দাস বলেন, ভক্তদের সামাল দিতে মন্দির কমিটির নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী দল রয়েছে। পাশাপাশি কঠোর পুলিসি নিরাপত্তা থাকে। এই দুই মন্দির ছাড়া ভাগীরথীর পাড় ও শহরের বহু শিব মন্দিরে জল ঢালতে ভক্তদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। পাশাপাশি রবিবার রাত থেকে ভাগীরথীর বিভিন্ন ঘাট থেকে জল ভরে হাজার হাজার শিব ভক্ত বিভিন্ন মন্দিরের উদ্দেশে রওনা দেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘাটে ঘাটে পুলিসের কড়া নিরাপত্তা ছিল। বিপর্যয় মোকাবিলা টিম নজরদারি চালিয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)