• মূল পান্ডা জেঠিমার প্রেমিককে গ্রেপ্তার
    বর্তমান | ৩০ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: নিজের জায়ের নাবালিকা মেয়েকে পাচারের ঘটনায় ধৃত পারুলের প্রেমিককে এবার গ্রেপ্তার করল পুলিস। ধৃতের নাম অপু ওরফে আসগর আলি দালাল। তার বাড়ি জয়পুরের বড় আঙারিয়া গ্রামে। এদিন তাকে হাওড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাবালিকার জেঠিমা পারুল মল্ল মেটে এবং তার প্রেমিক আসগর দু’জনে মিলে এলাকায় নাবালিকা পাচার চক্র চালাত বলে পুলিসের প্রাথমিক অনুমান। দু’দিন পুলিস হেফাজত শেষে এদিন পারুলকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তদন্তের স্বার্থে পুলিস তাকে ফের হেফাজতে নিয়েছে। তবে আসগরকে এদিন আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিস জানিয়েছে, চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা করা হবে।     


    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বড় আঙারিয়ার বাসিন্দা বিবাহিত আসগর আলি দালাল প্রথমে রাজমিস্ত্রির কাজ করত। অন্যদিকে জয়পুর থানা এলাকার বাসিন্দা পারুল মল্ল মেটে একটি আশ্রমে কাজ করত। সেখানেই আসগরের সঙ্গে পারুলের পরিচয়। পরে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এনিয়ে দুই পরিবারে ঝামেলাও হয়। আসগরের স্ত্রী শিশু সন্তান নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যায়। অন্যদিকে পারুলের স্বামী নিখোঁজ হয়ে যায়। এপরেই আসগর হাওড়ায় চলে যায়। সেখানে বাড়ি ভাড়া করে থাকতে শুরু করে এবং পারুল ‌নিজের জায়ের মেয়েকে আসগরের হাতে তুলে দেয়। এরপর আসগর দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানা এলাকার আলতাবেড়িয়ার বাসিন্দা জয়দেব মণ্ডলের হাতে নাবালিকাকে তুলে দেয়। তারা আর কোনও নাবালিকাকে একইভাবে পাচার করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, পারুলের স্বামী তিনবছর ধরে নিখোঁজ থাকার পিছনে তাদের হাত রয়েছে কিনা পুলিস তারও তদন্ত করছে। 


    উল্লেখ্য, জয়পুর থানা এলাকার বাসিন্দা ১৩ বছরের এক নাবালিকা তিন মাস আগে হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে যায়। পুলিস ঘটনার তদন্তে নেমে তাকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার আলতাবেড়িয়া থেকে উদ্ধার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই জানা যায় যে, তাকে অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার পিছনে তারই জেঠিমা পারুল মল্ল মেটে যুক্ত রয়েছে। এরপর পারুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জেরা করে আলতাবেড়িয়া থেকে জয়দেব মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়। দু’জনকে মুখোমুখি জেরা করতেই ঘটনায় মূল মাথা জয়পুরের বড় আঙারিয়ার বাসিন্দা আসগর আলি দালালের নাম পাওয়া যায়। রবিবার রাতে তাকে হাওড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিস গোটা ঘটনার তদন্ত করতে নেমে জানতে পারে যে, আসগর এবং পারুলের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তারা দু’জনে মিলে এলাকায় একটি পাচার চক্র চালাচ্ছিল বলেও প্রাথমিকভাবে পুলিস জানতে পেরেছে। তবে তারা এলাকা থেকে আরও কোনও নাবালিকাকে পাচার করেছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।  
  • Link to this news (বর্তমান)