• চা পাতা তোলা নিয়ে ধুন্ধুমার, জখম আট
    বর্তমান | ৩০ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: চা পাতা তোলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আটজন জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের চিকিৎসা চলছে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। চার জন ময়নাগুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকি দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ময়নাগুড়ির সাপ্টিবাড়ি এলাকায়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ময়নাগুড়ি থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। এই ঘটনায় পুলিস চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। 


    স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে সাপ্টিবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বোলোরহাট এলাকায় নজরুল হকের তিন ছেলে চা বাগানে পাতা তুলতে যান। সেই সময় প্রতিবেশী নয় জন তাঁদের উপর ধারালো অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ।


    নজরুল হক বলেন, আমার তিন ছেলে চা পাতা তুলতে গিয়েছিল। সেই সময় মতিয়ার রহমান, মফিয়ার রহমান, ময়নুল হক, কবিয়ার হক, সাহেব হক, তৈয়ব আলি, রব্বানী ইসলাম, জাকির হোসেন, হায়দার আলি একত্রিত হয়ে আমার ছেলেদের উপর হামলা চালায়। একজনের ডান হাতের আঙুল কেটে দেওয়া হয়েছে। বড় ছেলের পায়ে হাঁসুয়া দিয়ে কোপ মেরেছে। আমার ছোট ছেলে দুলু হককে কাঁদার মধ্যে চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়। সেই সময় তাঁর স্ত্রী বাঁচাতে গেলে তাঁকেও মারধর করে। এতে আমার পরিবারের ছ’জন জখম হয়েছে। তাদেরকে প্রথমে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দু’জনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে জলপাইগুড়ি স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তাদের চিকিৎসা চলছে। 


    অভিযুক্তদের মধ্যে জাকির হোসেন বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। নজরুল হকের পরিবারের লোকজনরাই আমাদের উপর হামলা চালায়। আমাদেরও বেশ কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুবল ঘোষ বলেন, সমগ্র ঘটনার তদন্ত চলছে।  চিকিত্ধীন আহতরা। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)